বয়স যাইহোক-না কেন, ত্বকের জৌলুস বজায় রাখা যায় যে-কোনও বয়সে। কিন্তু দুঃশ্চিন্তা, কম ঘুম, শরীরের সঠিক যত্ন না নেওয়া প্রভৃতি কারণে অনেকেরই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে অকালে। বিশেষকরে মুখেচোখে বার্ধক্যের রেখাগুলি স্পষ্ট হয় আগে। আর সৌন্দর্য কমতে থাকলে আত্মবিশ্বাসও কমতে থাকে।
একসময় কসমেটিক অ্যান্টি এজিং প্রক্রিয়া বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেকেই এই প্রক্রিয়াকে মাধ্যম করেছেন। আবার কেউ কেউ শুধু ইঞ্জেকশন এবং ডার্মাল ফিলারকে মাধ্যম করেও সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন। তবে শুধু এখানেই থেমে নেই বিউটি ট্রিটমেন্ট-এর বিষয়টি। আজকাল অনেক মহিলা ফেসিয়াল রিজুভিনেশন সার্জারি অর্থাৎ ফেসলিফ্ট সার্জারিও মাধ্যম করছেন সৌন্দর্য বর্ধনে।
কারা এই সার্জারি করাতে পারবেন
অকালে যাদের মুখের ত্বক জৌলুস হারিয়েছে কিংবা যারা বয়স বাড়লেও আরও কিছুদিন সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান, তারাই সাধারণত এই ধরনের বিউটি ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। ফেসলিফ্ট সার্জারি করাতে হলে যে-দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল—
- ধূমপান এবং মদ্যপান করা যাবে না।
- অন্য কোনও বড়ো অসুখ থাকলে এই সার্জারি করা যাবে না।
ফেসলিফ্ট সার্জারির সুফল
- মুখমণ্ডলের মাংসপেশি টাইট থাকে এবং ত্বকের জৌলুস বাড়াতে সাহায্য করে
- চোয়াল এবং ঘাড়ের শেপ বজায় রাখে
- কোনও সার্জারির দাগ থাকলে তা দূর করা যায়
- স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরে পাওয়া যায় এবং দীর্ঘদিন সৌন্দর্য বজায় থাকে।
ফেসলিফ্ট সার্জারির সাইড এফেক্ট
বেশিরভাগ সার্জারির যেমন কিছু সাইড এফেক্ট থাকে, ফেসলিফ্ট সার্জারিরও তেমনই কিছু সাইড এফেক্ট আছে।
যেমন—
- অ্যানেস্থেসিয়া-র কুপ্রভাব পড়তে পারে
- কিছুটা রক্তক্ষয় হতে পারে
- সংক্রমণের ভয় থাকে
- রক্ত জমে যেতে পারে
- যন্ত্রণা হতে পারে
- দীর্ঘ সময় ফোলা ভাব থাকতে পারে
- ঠিক হতে সময় লাগে।
সতর্ক থাকলে এবং সঠিক ভাবে ফেসলিফ্ট সার্জারি করলে, এর কুপ্রভাব অনেকটাই এড়ানো যায়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, সার্জারি ঠিকমতো না হলে আরও কিছু স্থায়ী জটিলতা বা সমস্যা তৈরি হতে পারে, যেমন—
- হেমাটোমা
- সার্জারি-র দাগ থেকে যাওয়া
- নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
- সার্জারি-র জায়গায় (মুখমণ্ডল লাগোয়া অঞ্চলে) চুল না গজানো
- ত্বকেরও ক্ষতি হতে পারে।
শুধু তাই নয়, ভুল ফেসলিফ্ট সার্জারি নানারকম অসুখ এবং জীবনশৈলীর পরিবর্তনও ঘটাতে পারে। যেমন— যদি কেউ রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন, তাহলে তার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। কারণ, ফেসলিফ্ট সার্জারির সময় রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাওয়া বন্ধ রাখতে হয়। এর ফলে, সার্জারির সময় বা ঠিক পরে ব্লাড ক্লট অর্থাৎ রক্ত জমাট বাঁধতে বিলম্ব হতে পারে।