‘বৃষ্টি’ শব্দটা শুনলেই মনটা কেমন যেন রোমান্টিক হয়ে ওঠে। কিন্তু পরক্ষণেই আবার মন খারাপ হয়ে যায় জল-কাদার কথা ভাবলে! ছাতা কিংবা রেনকোটকে মাধ্যম করে মাথা এবং শরীরের অনেকটা অংশ বাঁচানো সম্ভব হলেও, পা বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।

আসলে ছাতা, রেনকোট যাই থাকুক না কেন, বৃষ্টিতে হাঁটলে পা ভিজবেই। তাছাড়া অনেক রাস্তায় তো জলও জমে থাকে। অনেকসময় নিরুপায় হয়ে রাস্তার সেই নোংরা জলে পা দিতে হয় এবং ঠিক এই কারণে শুরু হয়ে যায় পায়ের নানারকম সমস্যা। পায়ের নখের গোড়ায় বাসা বাঁধে জীবাণু। তাছাড়া পায়ে দীর্ঘসময় নোংরা জল লেগে থাকার কারণে, শুরু হয়ে যায় পায়ের ত্বকের গভীর সমস্যা। তবে সতর্ক থাকলে পায়ের সমস্যা এড়ানো যায় অনেকটাই। এ প্রসঙ্গে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

  •  বর্ষাকালে দীর্ঘসময় বন্ধ জুতো পরবেন না। ভেজা জুতোও পরিত্যাগ করুন।
  • বাইরে থেকে ঘরে ঢুকলে প্রথমেই অ্যান্টিসেপটিক সাবান দিয়ে ভালো ভাবে পা ধুয়ে নিন। এরপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে শুকিয়ে নেওয়া দরকার।
  • আঙুলের ফাঁকে যেন জল না থাকে। তুলো কিংবা নরম কাপড় দিয়ে আঙুলের ফাঁকে আটকে থাকা জল মুছে দিন।
  • পা এবং পায়ের আঙুল ভালো ভাবে ধুয়ে মুছে নেওয়ার পর ময়শ্চারাইজর লাগাতে ভুলবেন না।
  • নখের ভিতর যেন কোনওরকম নোংরা জমে না থাকে। কারণ নখের গোড়ায় জীবাণু আক্রমণ করতে পারে। নখ কেটে পরিস্কার রাখুন।
  • বর্ষার আলাদা জুতো, এবং শু পাওয়া যায়। ওই স্পেশাল জুতো (স্যান্ডাক) কিনে ব্যবহার করুন।
  • জুতো ভিজে গেলে, খুলে খবরের কাগজ দিয়ে জড়িয়ে রাখুন কিছুক্ষণ, এতে ভেজা জুতো অনেকটাই শুকিয়ে যাবে। অথবা ভেজা জুতো চড়া রোদে শুকিয়ে নিয়ে তারপর পরুন। নয়তো জুতোতে জীবাণু বাসা বাঁধবে এবং সেই জুতো পরলে আপনার পায়ের ত্বকের ক্ষতি হবে।
  • বর্ষাকালে ফ্যাশনেব্ল জুতো পরার ইচ্ছে হলে, প্লাস্টিকের জুতো পরুন, চামড়ার জুতো নয়।
  • বর্ষাকালে এমন জুতো ব্যবহার করুন, যা ভিজলেও সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে যাবে এবং পায়ের ত্বকে কোনও খারাপ প্রভাব ফেলবে না।
  • দীর্ঘসময় একনাগাড়ে জুতো পরে থাকবেন না। মাঝেমধ্যে জুতো খুলে বসুন।
  • বর্ষাকালে বেশি উঁচু (হাই হিল) জুতো পরবেন না। কারণ জল-কাদায় বেকায়দায় পা পড়লে, হড়কে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেতে পারেন।
  • বর্ষাকালে অন্তত দু’জোড়া স্যান্ডাক রাখবেন বাড়িতে। যাতে একজোড়া ভিজে গেলে অন্য জোড়া ব্যবহার করতে পারেন।
  • বর্ষাকালে মাঝেমধ্যে পেডিকিওর করিয়ে নেবেন।
  • নখ কেটে পরিস্কার করে রাখবেন বর্ষাকালে। কৃত্রিম নখ একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এতে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে।
  • সপ্তাহে একবার ঠান্ডা জলে কয়েক ফোঁটা তেল ফেলে, ওই তেলযুক্ত জলে পা চুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে পা মোলায়েম থাকবে এবং দুর্গন্ধ দূর হবে।
  • ময়শ্চারাইজার দিয়ে মাঝেমধ্যে পা ম্যাসাজ করবেন।
  • অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন দিয়ে পা মুছে নিয়ে মাঝেমধ্যে সুগন্ধি স্প্রে করে নেবেন পায়ে।
  • ঘরের মধ্যে শুকনো জায়গায় খালি পায়ে হাঁটা ভালো, কারণ এতে জমির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়, যা শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। কিন্তু জল-কাদাযুক্ত রাস্তায় খোলা জুতো পরে ভুলেও হাঁটবেন না। এতে আঙুলের নখের ফাঁকে যেমন নোংরা জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে, ঠিক তেমনই পায়ের আঙুলের ফাঁকে জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে।
  • প্রতিদিন স্নানের সময় ভালো সাবান দিয়ে যত্ন সহকারে পা ধোবেন এবং পা শুকিয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
  • সপ্তাহে অন্তত একবার পায়ের স্ক্রাবিং করিয়ে নেবেন। এতে পায়ের ডেড স্কিন দূর হয়ে ঔজ্জ্বল্য বাড়বে।
  • পা কেটে ছিঁড়ে গেলে বাড়ির বাইরে জল-কাদায় বেরোবেন না। কারণ, কাটা জায়গায় জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা বড়োরকম বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
  • প্রতিদিন অন্তত দু’বার শুকনো পায়ে সরষের তেল দিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে এবং ছোটোখাটো আঘাতেও বড়ো কোনও ক্ষতি হবে না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...