আপনার ত্বক-কে মসৃণ কোমল ও রোমমুক্ত করতে হলে সেরা পদ্ধতি ওয়্যাক্সিং। এই পদ্ধতিতে শুধু রোম নিমূর্লই হয় না, ত্বকের ট্যানও ফিকে লাগে দেখতে। ওয়্যাক্সিং করানোর পর অন্তত দু-সপ্তাহ ত্বক পরিচ্ছন্ন ও দাগহীন দেখতে লাগে। আবার নতুন রোম গজালেও তা আগের চেয়ে সংখ্যায় কম এবং মিহি হয়। নিয়মিত ওয়্যাক্সিং করালে ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত হেয়ার গ্রোথ থামিয়ে রাখা যায়। ওয়্যাক্সিং-এর নানা ধরন এখানে আলোচনা করা হল।
সফ্ট ওয়্যাক্সিং বা রেগুলার ওয়্যাক্স
এটাই সবচেয়ে কমন ওয়্যাক্সিং-এর পদ্ধতি। এতে মধু ও চিনির মিশ্রণ গরম করে ত্বকের উপর লাগানো হয়। হেয়ার রিমুভ করার পাশাপাশি এটা ট্যানও রিমুভ করে। স্কিন সফট ও গ্লসি হয়।
চকোলেট ওয়্যাক্স
এই ওয়্যাক্সিং-এ স্কিন পোরস্ ওপেন হয়। এর ফলে রোম সহজেই ত্বক থেকে নির্মূল হয়। বেশি যন্ত্রণাদায়কও নয় এই পদ্ধতি। চকোলেটে মজুদ স্কিন স্মুদিং এলিমেন্ট, ত্বককে রিল্যাক্স করতেও সহায়ক। কোকো পাউডার বেসড ওয়্যাক্স-এর সাহায্যে রোম পুরোপুরি উঠে আসে। এই ওয়্যাক্সিং-এ রেড প্যাচ পড়ে না ত্বকে। চকোলেটের গন্ধটাও এক আনন্দের অনুভূতি এনে দেয় মনে।
অ্যালোভেরা ওয়্যাক্স
অ্যালোভেরা পাল্প দিয়ে তৈরি এই ওয়্যাক্স স্কিন নারিশ করার সাথে সাথে রিজুভিনেটও করে। শরীরের সেন্সিটিভ এরিয়া, যেমন আন্ডার আর্মস এবং বিকিনি পার্ট-এর জন্য এটা উপযুক্ত।
ব্রাজিলিয়ন ওয়্যাক্স
এটা এক ধরনের হার্ড ওয়্যাক্স যা বিকিনি এরিয়ার জন্য আইডিয়াল। ওয়্যাক্সিং-এর যন্ত্রণা কম করতে হলে, দ্রুত এই ওয়্যাক্স করা প্রয়োজন।
লাইপোসলিউবল ওয়্যাক্স
এই ওয়্যাক্স অয়েল বেসড। রোমের গোড়ায় এটা ভালো ভাবে আটকে ধরে। ফলে রোম তুলতে সুবিধে হয়। ত্বকের উপরও এটা অত্যন্ত কোমল। তবে এই ওয়্যাক্স ব্যবহার করতে হলে আগে স্কিনের ওপর তেল বুলিয়ে নেওয়া জরুরি। এই ওয়্যাক্স খুব গরম অবস্থায় লাগানো হলেও, ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
খেয়াল রাখুন
ওয়্যাক্সিং করানোর সময়, ত্বকে প্রদাহ হতে পারে, যন্ত্রণাদায়ক বোধ হতে পারে, লাল হওয়া বা সংক্রমণ হওয়াও স্বাভাবিক। ত্বক অনেক সময় চুলকায় বা ত্বকের টেক্সচারেও পরিবর্তন আসতে পারে। মুখের ত্বক খুব সেন্সিটিভ। ওয়্যাক্সিং করানোর ফলে অকালে মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। তাই বারবার ওয়্যাক্সিং করার বিকল্প হতে পারে লেজার হেয়ার রিমুভাল।