জন-পরিষেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন হোটেল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এয়ারলাইন্স) চাকরি করা মানেই হল, অনুশাসিত জীবনচর্চা। এইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পোশাক-আশাক এবং মেক-আপে একটা আভিজাত্যের ছাপ থাকে। সাধারণত এদের স্মার্ট অথচ রুচিসম্পন্ন পোশাক এবং মেক-আপ ব্যবহার করতে হয়। পেশাগত চাহিদা পূরণের জন্য এটা জরুরি। বিশেষ করে Make-up এতটাই ন্যাচারাল হতে হবে, যাতে কথা বলার সময় অন্যকে প্রভাবিত করা যায়। এই পেশায় যে-বিশেষ ধরনের পোশাক (ইউনিফর্ম) ব্যবহার করা হয়, তার সঙ্গে মানানসই মেক-আপও করতে হয় কর্মীদের। অর্থাৎ, মেক-আপ এতটাই হালকা এবং নিখুঁতভাবে করতে হবে, যাতে Make-up করা হয়েছে কিনা তা সহজে বোঝা যাবে না। গায়ের রং ফরসা বা কালো যাই হোক না কেন, চড়া মেক-আপ করা চলবে না।
কেমন হবে মেক-আপ
১) Make-up হবে হালকা। টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং ছাড়া, ফাউন্ডেশন এবং কমপ্যাক্ট পাউডার কম ব্যবহার করুন। ব্লাশারও কম ব্যবহার করুন।
২) হালকা আইশ্যাডো লাগান।
৩) মাসকারা বা কাজল অথবা আই লাইনার ব্যবহার করুন।
৪) লিপস্টিক লাগানোর আগে আউটলাইন দিন। আউটলাইন দিন ডিপ কালারের এবং লিপ কালার লাগান লাইট কালারের। অবশ্য চাইলে শুধু লিপবামও ব্যবহার করতে পারেন।
৫) পোশাকের সঙ্গে মানানসই নেল কালার ব্যবহার করুন।
৬) মাথায় খুব বেশি হেয়ারপিন ব্যবহার করবেন না।
৭) চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কন্ডিশনিং করুন।
8) চেন, ইয়ার রিং, রিং, ব্রেসলেট প্রভৃতি পরতে পারেন। তবে তা ইয়োলো অথবা হোয়াইট গোল্ডের হওয়া চাই।
৯) কপালে টিপ না পরাই ভালো। একান্ত যদি পরতেই হয়, তো ছোটো টিপ পরুন। এ ছাড়া বিবাহিতারা যদি সিঁদুর পরতে চান, তাহলে ছোট্ট রেখার মতো করে পরুন।
কেমন হবে পোশাক-পরিচ্ছদ
১) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ইউনিফর্ম ব্যবহার করুন। ইস্ত্রি করা পোশাক পরলে উজ্জ্বলতা বাড়বে।
২) সিল্কের শাড়ি যদি পরতেই হয়, তা এমনভাবে পরুন, যাতে সৌন্দর্য এবং সম্ভ্রম দুই-ই বজায় থাকে।