সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করা ও তা পরিবেশনের মধ্যেই কিন্তু রযেছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। অনেকসময় ছোটোখাটো ভুলের কারণে আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার আরও অস্বাস্থ্যকর করে ফেলি।এমন কিছু বিষয় নিয়েই আজকের এই লেখা।
খাবার রান্নার সময় সঠিক তেল বাছাই করা খুবই জরুরি। কারণ ভুল তেল খাবারের স্বাদ নষ্ট করার পাশাপাশি পুষ্টিগুণও অনেক কমিয়ে আনে।স্যালাডে ব্যবহারের জন্য ওয়ালনাট এবং অলিভ অয়েল বেশি উপকারী। এছাড়াও ব্যবহার করা যায় নারকেল তেল, তিল তেল এবং সূর্যমুখীর তেল। ভাজা এবং গ্রিলে তৈরি খাবারের জন্য এই তেলগুলো খুবই ভালো।
প্রচলিত একটি ধারনা হল, বেশি তেল দিয়ে রান্না করলেই খাবার সুস্বাদু হয়। তবে অতিরিক্ত তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আর বেশি তেল মেদ জমানোর জন্যও দায়ী। তাই কম তেলে রান্না সারুন। রান্নার পাত্রে খাবার আটকে যাওয়া রোধ করতে, ঠিক যতটুকু তেল প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করা উচিত। এর থেকে বেশি তেল ব্যবহার করা কখনোই ঠিক নয়। খাবারে ক্যালরির পরিমাণ কমাতে ভাজার চাইতে বেইক করা বা সেদ্ধ করে অল্প তেলে সঁতে করা ভালো।
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য চিনি,নুন এবং অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত উপাদানের উপর নির্ভর করি আমরা। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি, নুন, ঘি বা বাটারজাতীয় উপাদানের ব্যবহার, খাবারের পুষ্টিগুণ কমিয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে এইসব উপাদান মোটা হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আভেনে রান্নার সময় অবশ্যই একটি রোস্টিং প্যান বা তারের জালির উপর মাংস বা মাছ বেক করতে হবে। এতে চর্বি গলে নিচে পড়ে যাবে। সাধারণ প্যানে বেক করলে চর্বির অংশ পুরোটাই খাবারের ভিতরে শুষে যায়। আর সেই খাবার খেলে শরীরে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি।
খাবারে স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া নানান ধরনের হার্বস বা বিভিন্ন লতাপাতা, যেমন পুদিনা, লেটুস বা ধনেপাতা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। পাশাপাশি ওজন কমাতে এবং খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়াতেও কার্যকর এইসব হার্বসগুলো।