সাতাশ বছর বয়সি শান্তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল যখন পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারে যে, সে Breast Cancer-এ আক্রান্ত। শান্তা বড়ো কোম্পানিতে উঁচু পদে কর্মরত। প্রথম দিকে সে কিছুই বুঝতে পারেনি। পিরিয়ড সংক্রান্ত কিছু সমস্যা নিয়ে সে পারিবারিক ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া আরম্ভ করলে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়। কিন্তু এরই পাশাপাশি শান্তা লক্ষ্য করে যে, খাওয়াদাওয়ার প্রতি অনীহা ওর ধীরে ধীরে বাড়ছে।

একদিন স্নানের সময় শান্তা নিজের ডান ব্রেস্টে উঁচু মতো একটা শক্ত কিছু অনুভব করে। ডাক্তরের কাছে দেখায় শান্তা। প্রথমটা ডাক্তার পেশির সমস্যা বলে কিছু ওষুধ দেন কিন্তু কয়েক মাস ওষুধ চলার পরেও কোনও সুরাহা না হলে, ডাক্তারের পরামর্শমতো বিভিন্ন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্রাফি করায় শান্তা। এরপর তার দুটি স্তনেই টিউমার ডিটেক্ট হয়।

ক্যান্সার হসপিটালের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শান্তা এবং সেখানে ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা শুরু হয়। আজ সেদিনের কথা ভাবলে শান্তার মনে হয় যেন সে, নতুন করে আবার জীবন পেয়েছে।

স্তন ক্যান্সার কী?

স্তনের কিছু কোশের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোশগুলি বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোশ রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার। বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যেই স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। স্তনে থাকা বিভিন্ন কোশগুলির মধ্যে যে-কোনও কোশেই এই রোগ হতে পারে। তবে প্রধানত মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে যুক্ত কোশেই এই প্রকার ক্যান্সার বেশি দেখা যায়।

স্তনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কোশগুলির অতিরিক্ত বেড়ে ওঠার কারণে শরীরে স্তনের আকারের বা আকৃতির পরিবর্তন ঘটে। তবে স্তনের মধ্যে যে-কোনও লাম্প হওয়া মানেই ক্যান্সারই হয়েছে এমনটা বলা যায় না। এটি একটি সাধারণ টিউমারও হতে পারে। শুধুমাত্র ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...