বর্তমান যুগে সবথেকে আশঙ্কার বিষয় হল অল্পবয়সি মেয়েরাও Breast Cancer-এর মতো এই মারণ রোগের শিকার হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হল আমাদের জীবনশৈলী। পশ্চিমি দেশগুলিকে আমরা নকল করতে ব্যস্ত। স্যাচুরেটেড অয়েল-এর সর্বাধিক ব্যবহার। কোনওরকম শারীরিক পরিশ্রম নেই। নানা কারণে স্ট্রেস এবং অবসাদের বাড়বাড়ন্ত। বিয়ে দেরিতে হচ্ছে, ফ্যামিলি প্ল্যানিংও শুরু হচ্ছে দেরিতে, মায়েরা সন্তানকে ব্রেস্ট ফিড করাতে নারাজ। এতকিছু কারণসমূহ স্তন ক্যান্সারের বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হয়ে উঠছে। এসব কিছুই গভীর ভাবে ভাবার বিষয়। সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সচেতনতা দরকার

স্তন ক্যান্সার ডিটেক্ট করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। যুবা বয়সে মেয়েরা অনেক সময় সচেতন হন না। ফলে প্রারম্ভিক লক্ষণগুলিকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে চান না। পরিবারের সদস্যরাও অনেক সময় সচেতন হন না রোগটির সম্ভাবনার বিষয়ে, ফলে অসুখ বাড়তে থাকে। এমনও হয় বহু ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।

ম্যামোগ্রাফিতে প্রারম্ভিক অবস্থায় ক্যান্সার ডিটেক্ট করা যায়। এই পদ্ধতিতে খুব কম মাত্রায় রেডিয়েশন প্রয়োগ করে এক্সরে করা হয় এবং লাম্প বা টিউমারটির সঠিক আকার নির্ণয় করা সম্ভব হয়। ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে Breast Cancer-এর প্রকোপ বাড়তে থাকায় অবশ্যই নিজের স্তনের আকার, আকৃতি এবং পরিবর্তনের উপর নজর রাখতে হবে। সময় নিয়ে নিজেকেই নিজে পরীক্ষা করুন এবং লাম্প-এর অস্তিত্ব টের পেলে সঙ্গে সঙ্গে ম্যামোগ্রাফি করান। ৪০ বছরের পর ২ বছর অন্তর ম্যামোগ্রাফি করানো বাঞ্ছনীয়। টিউমার হয়ে থাকলে ম্যামোগ্রাফির পর সোনোগ্রাফি করিয়ে ক্যান্সারের আকার এবং স্বরূপ জেনে নেওয়া জরুরি।

চিকিৎসা: সাধারণত সার্জারির মাধ্যমেই এর চিকিৎসা করা হয়। পুরো স্তন বাদ দিয়ে দেওয়া বা ক্যানসার-যুক্ত টিউমারের আশেপাশের কিছু সুস্থ টিস্যু সার্জারি করে বার করে দেওয়া এই দুটি বিকল্প চিকিৎসা রয়েছে। সার্জারির পর ডাক্তার, রেডিয়েশন থেরাপি, কেমো থেরাপি, হরমোনাল থেরাপি বা এইসব কিছু মিলিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। বেশিরভাগ টিউমার সার্জারির পর বিশেষ একটি মেশিন দ্বারা প্রভাবিত অংশে প্রয়োগ করা হয়। ছোটো শহর বা গ্রামে এই সুবিধা নেই।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...