ভারতে ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মহিলা এন্ডোমেট্রিওসিসে ভুগছেন এবং এটি মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণ হিসাবে ধরা হয়।
এন্ডোমেট্রিওসিসের প্রভাব প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ১ জনের। শুধু তাই নয়, ৩০-৫০% মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের কারণ ওই এন্ডোমেট্রিওসিস। ৩৫ বছরের বেশি বয়সি মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের পাশাপাশি গর্ভপাতের ঝুঁকিও বেশি হয় এই সমস্যার কারণে। সম্প্রতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দিয়েছেন ফার্টিলিটি ইনহান্সিং, এন্ডোমেট্রিওসিস এক্সিশন, ল্যাপারোস্কোপিক, রোবোটিক সার্জন এবং ‘এন্ডোক্রুসেডারস’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা. ভিমি বিন্দ্রা।
এই কোষ ডিম্বাশয়, টিউব, পেরিটোনিয়াম, অন্ত্র, মূত্রনালী এবং শ্রোণীপথে পাওয়া যেতে পারে। এমনকি এই কোষ তার নিজস্ব হরমোন গঠন করতে পারে এবং এটি বৃদ্ধি পায় ও আশেপাশের কোষেও আক্রমণ করে। হায়দরাবাদ বেসড বিশেষজ্ঞ ডা. বিন্দ্রা আরও জানান, 'এই রোগ এবং এর চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক অনুরোধ আসে আমাদের কাছে। আসাম, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের এন্ডোমেট্রিওসিস রোগীদের চিকিৎসা করে চলেছি আমরা।' কথা প্রসঙ্গে ডা. ভিমি বিন্দ্রা এন্ডোমেট্রিওসিস রোগটি সম্পর্কে জানালেন বিশদে।
এন্ডোমেট্রিওক্যাল কোষ সাধারণত জরায়ুর ভিতরে থাকে কিন্তু এই এন্ডোমেট্রিওক্যাল কোষ জরায়ুর বাইরে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেলে, সেই অবস্থাকে বলা হয় এন্ডোমেট্রিওসিস। আর এই কোষ ডিম্বনালি, ডিম্বাশয়, মূত্রাশয়, অন্ত্র বা মলদ্বারে বৃদ্ধি পেতে পারে। জরায়ু গহ্বর এন্ডোমেট্রিওক্যাল কোষের সঙ্গে যে রেখা যুক্ত থাকে, তা স্ত্রী হরমোনগুলির মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। সাধারণত এটি জেনেটিক রোগ। তবে আধুনিক জীবনশৈলিও এরজন্য কিছুটা দায়ী। অর্থাৎ, অতিরিক্ত ফার্স্ট ফুড খাওয়া, ধূমপান এবং মদ্যপানের বদভ্যাসও এই রোগের কারণ হতে পারে।
এন্ডোমেট্রিওসিসের সাধারণ লক্ষণঃ
● খুব বেদনাদায়ক মাসিক ক্র্যাম্প ● দীর্ঘস্থায়ী পেলভিক ব্যথা, পিঠে ব্যথা ● বেদনাদায়ক ইন্টারকোর্স ● বেদনাদায়ক মলত্যাগ/প্রস্রাব ● রক্তপাত বা দাগ ● বন্ধ্যাত্ব ● ইডিওপ্যাথিক বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) অনুকরণে পেট/পাচন সমস্যা ● ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ● ক্লান্তি ● বিষণ্নতা