নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন যেসব পাত্র-পাত্রী, তারা সকলেই এক সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করেন। ভবিষ্যৎ আরও নিশ্চিন্ত এবং সুখকর হতে পারে, যদি বিয়ের আগেই একটা মেডিক্যাল চেক-আপ করিয়ে নেওয়া হয়। এই চেক-আপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে, এই যুগল অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে তার সুরাহা বের করতে পারবেন। বিয়ের পর কোনও ভুল বোঝাবুঝিরও অবকাশ থাকবে না। সম্পর্ক মধুর হবে।
কী কী টেস্ট করাবেন তা নিয়ে যারা ভাবছেন, তাদের বলে রাখা দরকার- থ্যালাসেমিয়া, ব্লাড সুগার, থাইরয়েড, হেপাটাইটিস বি এবং সি, আর সেইসঙ্গে এইচআইভি টেস্ট করাটা সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
থ্যালাসেমিয়া : হাই পার্ফরমেন্স লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি বা থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং টেস্ট-ই একমাত্র প্রক্রিয়া, যার দ্বারায় জানা যাবে পাত্র বা পাত্রী থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিনা। ভুলে গেলে চলবে না থ্যালাসেমিয়া কিন্তু একটি জেনেটিক সমস্যা। এর ফলে রোগীর শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞের মতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই যদি থ্যালাসেমিয়ার রোগী হন, তাহলে সন্তানের মধ্যেও এই রোগের আশঙ্কা থাকে।
ব্লাড সুগার : রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে নানারকম সমস্যার শিকার হবেন। মহিলাদের ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা হতে পারে। অনেক সময় সন্তান নানা জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, হাইপারটেনশন, ওজন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা বাড়তে পারে।
থাইরয়েড : গলার কাছে অবস্থিত এই অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিটি শরীরের নানা প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই থাইরয়েড টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভালো। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় টি-৩ এবং টি-৪ হরমোন। এই হরমোন সিক্রিশন কম হলে দেখা দেয় হাইপো থাইরয়েডিজম এবং হাইপার থাইরয়েডিজম-এর মতো রোগ। যার ফলে পিরিয়ড-এর সমস্যা, ডিপ্রেশন ইত্যাদি ঘটতে থাকে। কনসিভ করায় জটিলতা, মিসক্যারেজ হওয়া ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে। তাই বিয়ের আগে একবার চেক করিয়ে চিকিৎসা শুরু করুন।
সংক্রামক রোগ : এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস বি ও সি, এগুলি সংক্রামক রোগের অন্তর্গত। এই পরীক্ষাগুলি অবশ্যই বিয়ের আগে করিয়ে নিন। এছাড়া একবার ফুলবডি চেক-আপ করানোরও প্রয়োজন আছে। যদি কোনও সমস্যা আঁচ করা যায়, তাহলে নিদ্বির্ধায় চিকিৎসা শুরু করুন। তারপর এক মধুময় দাম্পত্যজীবন উপভোগ করুন।