ফ্রোজেন শোল্ডার রোগটির কথা হয়তো আমরা অনেকেই শুনি কিন্তু এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অনেকেরই নেই। এই অসুখে মূলত কাঁধের অস্থিসন্ধির নড়াচড়া বিঘ্নিত হয়। হাত উপরে তোলা, নীচে নামানো, পিঠের দিকে নিয়ে যাওয়াতে কষ্ট হয়। যারা এই অসুখের শিকার, তাদের ক্ষেত্রে চুল আঁচড়ানো, জামাকাপড় পরা, পিঠে হাত নিয়ে বোতাম আটকানো প্রভৃতি কাজে অসুবিধা ভোগ করতে হয়। এই সমস্যার পাশাপাশি কাঁধের অস্থিসন্ধিতে তীব্র যন্ত্রণা হতে থাকে। হাত নাড়তে হলে যন্ত্রণা বাড়ে।

শুরুর দিকে রোগীরা বুঝতে পারেন না যে তারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশ ফিরে শুতে সমস্যা হওয়া, কাপড়জামা মেলার সময় হাত উঁচু করলেই ব্যথা-- এমন সব উপসর্গ দিয়ে এর সূত্রপাত হয় এই রোগের। ক্রমশ ব্যথার তীব্রতা বাড়ে এবং হাত ও কাঁধ নাড়াতে গেলেই কষ্ট হয়।

কী কারণে সমস্যা হয়?  

আমাদের শরীরের প্রতিটি অস্থিসন্ধির মধ্যে থাকে একটি তরল যার নাম সাইনুভিয়াল ফ্লুয়িড। এর সাহায্যেই দুটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ রোধ সম্ভব হয়। হাড়ের সচলতায় সাহায্য করে এই সাইনুভিয়াল ফ্লুয়িড। কোনও কারণে এই তরল শুকিয়ে গেলে, হাড়ের সচলতা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই সমস্যাই মূলত ফ্রোজেন শোল্ডার-এর জন্য দায়ী।

দুটি হাড়ের সংযোগস্থলে একটি কাপ ও একটি বল আকারের অংশ থাকে। এই দুটি অংশ আবৃত করে রাখে ক্যাপসুল নামক একটি পর্দা। হাড়ের সচলতার দায়িত্ব অনেকটাই বহন করে এই ক্যাপসুল। কোনও কারণে কাঁধের এই ক্যাপসুল ছোটো হয়ে গেলে বা কুঁচকে গেলে, ব্যক্তি ফ্রোজেন শোল্ডারের শিকার হন।

কীভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব?

উল্লিখিত সমস্যাগুলো হলে রোগীকে প্রথমেই একজন অর্থোপেডিক চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে। রোগীর উপসর্গ মতো এক বা একাধিক ক্লিনিকাল টেস্ট-এর দ্বারা চিকিৎসক রোগের মাত্রা নির্ণয় করেন। প্রাথমিক ভাবে ডিজিটাল এক্স-রে এবং বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজনে এমআরআই করা হয়।

চিকিৎস

সময়সাপেক্ষ হলেও এ রোগের চিকিৎসা সম্ভব। ব্যায়াম বা ফিজিয়োথেরাপি এক্ষেত্রে খুব কার্যকর। এক থেকে দেড় বছর এই বিশেষ ব্যায়াম বা ফিজিয়োথেরাপি চালিয়ে গেলে, সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ১০-১৫ দিনের জন্য ব্যথা কমানোর ওষুধও দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...