মনে রাখবেন, সাধারণ ঠান্ডা লাগা থেকেও জ্বর আসতে পারে, আবার মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গি-আক্রান্ত হলেও জ্বর আসতে পারে। সেইসঙ্গে, লিভার ডিজিজ বা জন্ডিস-এর কারণেও গায়ে অনুভত হতে পারে জ্বর জ্বর ভাব। অতএব, এ ক্ষেত্রে মেনে চলুন চিকিৎসকের পরামর্শ। তাঁদের মতে--
যা যা করণীয়
- ২৪ ঘন্টার বেশি যদি গায়ে জ্বর থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
- কী হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো যাবতীয় পরীক্ষা করান
- লিভারকে ঠিক রাখুন। এরজন্য বেশী তেলমশলা-যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। শাকসবজি এবং ফাইবার-যুক্ত খাবার খান। বন্ধ করুন ধূমপান এবং মদ্যপান। আর লিভারকে ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন পান করুন তিন-চার লিটার জল
- শরীরকে জোগান দিন প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস প্রভৃতি। এর জন্য মাছ, মাংস, টাটকা সবজি, সবরকম ফল এবং গ্রিন-টি খান নিয়মিত এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে
- নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। কোনও ভাবে যেন শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা না হয়
- রাতে অন্তত আট ঘন্টা ঘুমোন
- বাড়ির আশপাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না। মশারি টাঙিয়ে শোবেন
- তিনটে লেয়ার-যুক্ত মাস্ক পরবেন বাইরে বেরোলে এবং অন্যের সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন
- থাইরয়েড থাকলে নিয়মিত ওষুধ খাবেন। আর ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে, হালকা গরম জলে স্নান করবেন প্রতিদিন সকাল৷
কঠিন শারীরিক রোগ আপনার জীবনের সব দিকে প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার সম্পর্ক,কাজকর্ম,ধর্মবিশ্বাস এবং আপনার সামাজিক মেলামেশা সবই প্রভাবিত হতে পারে। কঠিন অসুখ আপনাকে বিষণ্ন, চিন্তিত, ভীত বা ক্রুদ্ধ করে তুলতে পারে।কোনো ব্যক্তি যদি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ হন, তবে তার দেখাশুনা করা খুব ক্লান্তিদায়ক কাজ। আপনি বিপযর্স্ত বোধ করলে, সাহায্য নিন।ডাক্তারের সঙ্গে কথা না বলে ঔষধ বাড়াবেন না, কমাবেন না বা বন্ধ করবেন না। এর সঙ্গে অন্য ভেষজ কিছু ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। যদি কোনো কষ্টকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, আপনার ডাক্তার বা নার্সকে জানান। মুখ বুজে সহ্য করবেন না