শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্গ্যান হল ফুসফুস। সতর্কতা এবং যত্নের অভাবে, ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে নিউমোনিয়া, যক্ষা, এমনকী ক্যান্সার-এও। তাই, ফুসফুসকে সুস্থ রাখতেই হবে।খাদ্যতালিকায় খাদ্য উপাদানের সঠিক উপস্থিতি ফুসফুস ভালো রাখতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ও সচল রাখতে সাহায্য করে থাকে। কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবার প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে না, সেজন্য চাই স্বাস্থ্যকর খাবার সমৃদ্ধ তালিকা। আর এর জন্য কী খেলে উপকার পাবেন তা জেনে নিন।
দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম, ডাল, নানা বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি প্রোটিনের উত্স হিসেবে কাজ করে থাকে। প্রতিদিন পরিমাণ মতো প্রোটিন খাবার তালিকায় রাখলে তা শ্বাসযন্ত্রের পেশি বা ফুসফুসের পেশির কার্যকারিতা সঠিক রাখে।
লাল চাল, লাল আটা বা এদের তৈরি সামগ্রী, ওটস্, বার্লি ইত্যাদি ফুসফুস ভালো রাখতে কার্যকর। এগুলো থেকে যে খাদ্য আঁশ পাওয়া যায় তা যেমন ফুসফুসের জন্য উপকারী তেমনি এতে রয়েছ এন্টি অক্সিডেন্ট, এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য, ভিটামিন-ই, সেলেনিয়াম ও অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে ও ফুসফুসকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
আর কী খাবেন?
হলুদ : সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রস পান করুন সকালে। কারণ, হলুদে থাকা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, ফুসফুসকে সুস্থ রাখে এবং এর কার্যকরি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ভেষজ চা : আদা, তেজপাতা, হলুদ, লেবু এবং দারচিনি দিয়ে তৈরি লিকার-চা পান করলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে।
মুসুর ডাল : মুসুর ডালে ভরপুর পরিমাণে থাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, এবং পটাশিয়াম। তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মসুর ডাল রান্না করে খেলে, ফুসফুসের কার্যকরি ক্ষমতা বাড়বে।
টম্যাটো : ক্যারোটিনয়ে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস সমৃদ্ধ থাকে টম্যাটো। নিয়মিত টম্যাটো খেলে ফুসফুস ঠিক থাকবে এবং হাঁপানির হাত থেকে বাঁচবেন।
আপেল : প্রতিদিন একটা করে আপেল খাওয়া ভালো। কারণ, ভিটামিন সি ছাড়াও, ফ্লাভোনয়েস এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস-এ সমৃদ্ধ থাকে আপেল। তাই, আপেল খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।