বাড়িতে বসে রিমঝিম বৃষ্টি উপভোগ করতে হয়তো ভালো লাগে কিন্তু মনে রাখবেন, বর্ষাকালেই বেশি অসুখবিসুখ হয়। তাই সাবধানতা জরুরি। কীভাবে হাইজিন মেনটেইন করবেন, কী ধরনের খাবার খাবেন, আর কী কী এড়িয়ে চলবেন, এ সবই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রইল বিস্তারিত পরামর্শ।
প্রথমে অ্যাভয়েড করুন স্পাইসি এবং ফ্রায়েড ফুড। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। সময়মতো এবং উপযুক্ত পরিমাণ খাবার খান। ভাত, ডাল, টাটকা শাকসবজি খান নিয়মিত। কাজের চাপ থাকলেও, দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকবেন না এবং দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার পর হঠাৎ গলা পর্যন্ত খাবার খাবেন না। যাদের কনস্টিপেশন-এর সমস্যা আছে, তাদের উচিত বেশি পরিমাণ ফাইবার-যুক্ত খাবার খাওয়া।
প্রতিদিন অন্তত চার লিটার জল পান করুন, এতে খাবার হজম হবে ভালো। আঙুর, আপেল, পেয়ারা, কমলালেবু এবং কলা রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য-তালিকায়। ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করুন পুরোপুরি। জেনে রাখুন হেলদি ডায়েটের কোনও বিকল্প নেই। তবে প্রসঙ্গত জেনে রাখুন, বাঁধাকপি এবং গাজর অবশ্যই খাবেন কিন্তু একসঙ্গে নয়। কারণ এই দুই উপকরণ একসঙ্গে পেটে গেলে অ্যাসিডিটি তৈরি হয়।
সপ্তাহে অন্তত তিনদিন দিনে দু'বার ভেজ স্যুপ খাবেন অবশ্যই। এতে স্টমাক পরিষ্কার থাকবে এবং হজমশক্তি বাড়বে। বন্ধ করতে হবে ধূমপান এবং মদ্যপান। আর যারা দীর্ঘদিন ধূমপান করেছেন, তারা অবশ্যই প্রতিদিন দুটো করে কলা খাবেন। কারণ, কলা আলসার প্রতিরোধক। অবশ্য শুধু খাওয়ায় সংযম আনলে হবে না কিংবা উপযুক্ত খাবার খেলেই হবে না— খাবার হজম করানোর জন্য পরিশ্রমও করতে হবে।
আর যাদের কাজকর্ম কম অর্থাৎ বেশি দৈহিক পরিশ্রম করতে হয় না, তারা অবশ্যই ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করবেন এবং প্রতিদিন কিছুটা হাঁটাচলা করবেন, বিশেষ করে রাতে খাওয়ার পর। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন আছে। রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমোবেন।
খাদ্য তালিকায় যা যা রাখতে পারেন
ডিম: ডিমে আছে ভিটামিন এ, বি এবং ই। এইসব ভিটামিন বার্ধক্য আটকাতে সাহায্য করে। শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোশের মেরামতি কিংবা প্রোটিনের জোগান দেবে ডিম। তাই প্রতিদিন খান দুটো করে ডিম।