বেকিং সোডা যে কতরকম কাজে লাগতে পারে, তা অনেকেরই অজানা। মনে রাখবেন, কিছু খাবারকে খাস্তা, মুচমুচে কিংবা স্পঞ্জি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বেকিং সোডা-র কার্যকারিতা। এসব ছাড়াও, আর কী কী প্রয়োজনীয় সুবিধে নেওয়া যায় বেকিং সোডা ব্যবহার করে, সেই বিষয়ে জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে।
বেকিং সোডা আসলে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বোনেট বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট। এক কার্বোনিক যৌগিক। NaHCO3 হল এর কেমিক্যাল ফর্মূলা। চলতি ভাষায় একে আমরা বলি 'খাওয়া সোডা'।
ব্যবহার সমূহ
¤ ফল এবং সবজি জীবাণুমুক্ত করাঃ বাজার থেকে কাঁচা সবজি এবং ফলমূল আনার পরে বেকিং সোডা জলে মিশিয়ে ধুয়ে নিন।
¤ কার্পেট ক্লিনিংঃ কার্পেট পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করুন বেকিং সোডা। কিছুটা বেকিং সোডা কার্পেটের উপর ছড়িয়ে, দশ মিনিট পরে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ক্লিন করে নিন।
¤ মাউথওয়াশঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য এক গেলাস জলে হাফ চা-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে গারগল করুন।
¤ ডিওডরেন্টঃ ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
¤ এয়ার ফ্রেশনারঃ ঘরের অস্বস্তিকর গন্ধ কাটানোর জন্য একটা কৌটোতে বেকিং সোডা রেখে, কিছুক্ষণ কৌটোর ঢাকনা খুলে রাখুন।
¤ জামাকাপড়ের কড়া দাগ দূর করার জন্যঃ ওয়াশিং মেশিনে জামাকাপড় কাচার সময় লিকুইড সোপ-এর সঙ্গে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন।
¤ বাসনপত্রের কড়া দাগ দূর করার জন্যঃ স্টিল কিংবা সিলভার-এর তৈরি বাসনপত্রের পোড়া কিংবা তৈলাক্ত দাগ দূর করার জন্য সাবানের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
¤ বাথরুম ক্লিনিংঃ বাথরুমের মেঝের দাগছোপ কিংবা পিচ্ছিল ভাব কাটানোর জন্য বেকিং সোডা ঘষে দিন। ড্রেন ক্লিনার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা।
¤ ব্রাশ ক্লিনিংঃ টুথ-ব্রাশ এবং হেয়ার-ব্রাশ পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করুন।
¤ শু ক্লিনিংঃ জুতোর মধ্যে জমে থাকা ঘাম এবং ধুলোময়লা দূর করার জন্য, জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে ধুয়ে নিন।