ভাবছেন অফিস শেষের ক্লান্ত লুক-টাকে মেরামত করে নিজেকে প্রেজেন্টেবল করে তোলা প্রায় অসম্ভব, মোটেই না। এ যুগের নারী দশভুজার মতো সব সামলান অনায়াসে। এই সমস্যা তো নিতান্তই তুচ্ছ! কয়েকটি সহজ সমাধান জানাচ্ছে গৃহশোভা।
পোশাক
যদি শাড়ি পরার কথা ভাবেন, তাহলে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় পার্টিওয়্যার শাড়িটা প্রেস করে ব্যাগে ভরে নিন। খুব অর্নামেন্টাল কোনও ব্লাউজ একটা প্লেন শিফনের সঙ্গে কম্বিনেশন করে পরে বেরিয়ে পড়ুন। অফিস শেষে শুধু শাড়িটা বদলে নিন। শাড়ির বিকল্পে জিনস বা লেগিংস যা-ই পরুন একটা অর্নামেন্টাল পার্টি ওয়্যার কুর্তি, ব্যাগে রেখে দিন। সারাদিনের পরা পোশাকটি বদলে, জিনস-এর উপর স্রেফ কুর্তি গলিয়ে নিলেই আপনি পার্টির জন্য তৈরি।
যদি অন্য পোশাক পরেন, ব্যাগে সুন্দর একটি কাজ করা দুপাট্টা বা শাল বা স্কার্ফ রাখুন, যা আপনার মূল পোশাকটির মলিনতা ঢেকে দিয়ে নিমেষে উজ্জ্বল করে তুলবে। ওয়েস্টার্ন পোশাক পরলে ব্যাগে কিছু ফ্যাশন জুয়েলারি রাখুন যাতে পোশাক ছাপিয়ে সেটাই আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। নাইট গ্লাসেস, ফ্যাশনেবল বেল্ট প্রভৃতি সঙ্গে ক্যারি করাটাও সহজ, অথচ এগুলি Fashion-এ মুহূর্তে ভোল বদল করতে সক্ষম।
চুল
ব্যাগে অবশ্যই একটি স্টাইলিং জেল, ড্রায়ার এবং কিছু কার্লারস্ রাখুন। চুল জেল দিয়ে সেট করে বা কার্লারস্ লাগিয়ে ব্লো ড্রাই করুন। আজকাল বাজারে ব্যালেরিনা ব্যান্ডস পাওয়া যায়, এগুলো ফ্যাশনে ইন। তাড়াহুড়োতে হেড ব্যান্ডস ব্যবহার করার অনেক সুবিধা। ইচ্ছে হলে একটা আলগা হাতখোঁপা করে নিন এবং একান্তই যদি টাটকা ফুলের মালা না পান, আর্টিফিশিয়াল ফুল লাগিয়ে নিন। চুল আলতো করে পিঠে ফেলে রাখতে হলে, ক্লাচার লাগান।
মেক-আপ
মেক-আপ শুরু করার আগে ইন্সট্যান্ট পিল-অফ প্যাক লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে প্যাক ধুয়ে ফেলুন। গোলাপজল তুলোয় করে লাগিয়ে নিন সমস্ত মুখে। চোখ বন্ধ করে পাঁচ মিনিট এই তুলোর প্যাড লাগিয়ে রিল্যাক্স করুন। এবার মেক-আপ বেস লাগানোর পালা। এর জন্য ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে লাগান। যদি পার্টিতে একটু এক্সট্রা গ্ল্যামারাস লুক চান, তাহলে পার্ল ফিনিশ ময়েশ্চারাইজার লাগান। বিকল্প হিসাবে প্রসাধনীর দোকানগুলি থেকে গ্লিটার কিনে নিন। এটি ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে লাগান।