বাচ্চাকে সঠিক সময়ে পটিতে বসার অভ্যাস গড়ে তোলানো অনেক বাবা-মায়ের কাছেই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এর অনেক কারণ। অনিয়মিত ভাবে মলত্যাগ করার প্রবণতা যেমন থাকে শিশুদের, তেমন একজায়গায় টানা কিছুক্ষণ বসতেও চায় না তারা। তাই শিশু বসতে পারার মতো সক্ষম হলেই, তাকে শোওয়া অবস্থায় মলত্যাগ না করিয়ে, পটি ট্রেনিং দেওয়া উচিত।

অনেক সময় দেখা যায়, বাচ্চাকে পটিতে বসালেই সে কান্নাকাটি করতে শুরু করে। অনেক বাচ্চা আবার ডায়াপার-এ মলত্যাগ করার অভ্যাসটাই রপ্ত করে ফেলায়, তা থেকে বেরোতে চায় না। তাই বাচ্চা একটু বড়ো হলেই, মায়েদের উচিত তাকে ডায়াপারের অভ্যাস ত্যাগ করিয়ে, রোজ একটা নির্দিষ্ট সময়ে পটিতে বসানো। ডায়াপার-এ মলত্যাগ করায় স্কিন অ্যালার্জির সমস্যায় পড়তে হয় শিশুদের। তাই এই হ্যাবিট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়ানো উচিত। সঠিক সময়ে পটিতে বসানো শুরু করুন, এর ফলে বাচ্চা নিয়মিত ভাবে নির্দিষ্ট সময় মলত্যাগ করার অভ্যাস গড়ে তুলবে, যা তাদের বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত সুফলদায়ী হয়ে উঠবে।

মায়েদের ধৈর্যশীল হওয়া দরকার

পেডিয়াট্রিশিয়ানদের মতে বাচ্চাদের এই অভ্যাস গড়ে তুলতে সময় লাগে কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়েরা ধৈর্য ধরে নিয়মিত বাচ্চাকে পটিতে বসান না। প্রথম প্রথম ধীরস্থির হয়ে বাচ্চারা বসবে না, এটাই স্বাভাবিক। ফলে মা-কে ধৈর্য ধরে তার সঙ্গে খেলতে খেলতে বা কথা বলতে বলতে তাকে পটিতে বসিয়ে রাখতে হবে। এটা দৈনিক করলে তবেই বাচ্চার স্টিমুলি রেসপন্স করবে। প্রাকৃতিক ভাবে সাড়া দিতে সে নিজেই পটিতে বসতে চাইবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে।

প্রতিটি বাচ্চার মানসিক বিকাশ একই গতিতে হয় না, এটা স্বাভাবিক। তাই কোনও হ্যাবিট তৈরি হতে কেউ দ্রুত সময় নেয়, কেউ আবার দেরিতে শেখে। কিন্তু ডায়াপার পরিয়ে রেখে দায়িত্ব ঝেড়ে না ফেলে, একটু কষ্ট করে হলেও শিশুকে পটি ট্রেনিং রপ্ত করান।

  • ১৮ থেকে ২০ মাস পর থেকেই বাচ্চার পটি ট্রেনিং শুরু করে দিন। ২ বছর পর্যন্ত বাচ্চা পটিতে বসতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে বাড়ির কমোডে টয়লেট সিট দিয়ে তাকে বসানোর অভ্যাস করান।
  • ম্যাচিয়োর হবার সঙ্গে সঙ্গেই বাচ্চা অন্য সমস্ত নির্দেশ ফলো করার সঙ্গে সঙ্গে, পটি ট্রেনিং-এর ইনস্ট্রাকশনও বুঝতে শুরু করবে।
  • পটিসিট-এর সাইজ যেন বাচ্চার বসার পক্ষে আরামদায়ক হয়।
  • বাচ্চা অনেক সময় ইঙ্গিত দেয়। মলত্যাগ করার আগে হয় সে খেলতে খেলতে আড়ষ্ট হয়ে যায় কিংবা হঠাৎ এক কোণে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, মুখের ভঙ্গি বদলায়, বা পেটে হাত দিয়ে ব্যথার অনুভূতি বোঝায়। এসব সঙ্কেতে বুঝতে হবে বাচ্চাকে পটিতে বসানো প্রয়োজন।
  • বাচ্চাকে ভরপেট খাওয়ানোর পর একটি নির্দিষ্ট সময় রোজ পটিতে বসান।
  • অনেক বাচ্চাই খুব চঞ্চল প্রকৃতির হয়। পটিতে বসেই উঠে পড়তে চায়। এক্ষেত্রে খেলনা দিয়ে বা গল্প বলে বসিয়ে রাখুন।
  • অন্তত পনেরো মিনিট ধরে পটিতে রোজ বসানোর চেষ্টা করুন।
  • যদি বাচ্চা পটিতে বসতে কান্নাকাটি করে জোর করবেন না। দু-একদিন পরে আবার চেষ্টা করুন।
  • ডায়াপারের অভ্যাস একটু একটু করে ছাড়ান। দিনের কিছুটা সময় ডায়াপার না পরিয়ে প্রাকৃতিক কাজগুলি পটিতে বসিয়ে করানোর চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেন প্রতিটি শিশুই আলাদা স্বভাবের হয়। তাই অন্যের বাচ্চা এই অভ্যাস এত তাড়াতাড়ি রপ্ত করল, আমার শিশু করল না কেন –এটা ভেবে অশান্তি ভোগ করবেন না। শিশুকে সময় দিন, যে-কোনও নতুন অভ্যাস রপ্ত করার। কিছু শিশু ২ বছরের বেশি সময় নেয় পটি ট্রেনিং-এ অভ্যস্ত হতে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...