একটু বিচক্ষণতার সঙ্গে চলতে পারলেই দেখবেন সুস্থ-সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। এই যেমন আমাদের এখন অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া উচিত, ঠিক তেমনই অনেকটা সাশ্রয়ীও হওয়া উচিত। এই বিষয়ে রইল বিশদ পরামর্শ।
সন্তানের জন্য সঞ্চয়
যে যত বিচক্ষণ, সে ততই আগাম পরিকল্পনার পথ বেছে নেয়। এই যেমন সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। প্রথমেই প্রতি মাসে কিছু টাকা রেখে দিন সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য। এখন অনেক ব্যাংক এমন বিশেষ কিছু যোজনা যুক্ত করেছে, যা খুবই লাভদায়ক। এক্ষেত্রে কন্যাসন্তানের জন্যও রয়েছে ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা'। এই যোজনায় সুদের পরিমাণ বেশ ভালো। প্রতি মাসে যদি ৫০০ টাকা করেও জমাতে পারেন সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য, তাহলে আপনিও যেমন ভবিষ্যতে চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন, ঠিক তেমনই আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎও অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবে। অবশ্য শুধু ব্যাংক-ই নয়, পোস্ট অফিসেও এমন অনেক যোজনা রয়েছে, যা আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ করবে আপনাকে।
সুরক্ষা বিমা
এই জীবন সুরক্ষা বিমার দুটি ভাগ আছে। প্রথমটি স্বাস্থ্যবিমা এবং অন্যটি জীবনবিমা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে বিমা কোম্পানিকে। জমা দেওয়া টাকার পরিমাণ নির্ভর করবে বয়স এবং বিমারাশির পরিমাণের উপর। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে যেমন আপনার জীবন বাঁচবে, ঠিক তেমনই হঠাৎ যদি পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু ঘটে তাহলে জীবিত সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে যাবেন বিমা কোম্পানির থেকে। তাই পরিবারের প্রধান উপার্জনকারীর জীবনবিমা করিয়ে রাখা উচিত। এতে তার উপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিপদে পড়বেন না উপার্জনকারীর মৃত্যু ঘটলেও।
আর মনে রাখবেন, প্রতিদিন যেভাবে চিকিৎসার খরচ বেড়ে চলছে, তাতে মেডিকেল ইনশিয়োরেন্স করিয়ে রাখা জরুরি। অনেক দেশ আছে যেখানে চিকিৎসা বিমা বাধ্যতামূলক। এই বিমা না থাকলে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না। তাই মেডিকেল ইমারজেন্সির সময় যাতে বিপদে না পড়েন, তার জন্য স্বাস্থ্যবিমা করিয়ে রাখা-ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।