বিভিন্ন ধরনের কাস্টমারদের কথা মাথায় রেখে বিপণিগুলি নিত্যনতুন পণ্যসম্ভারে বাজার ভরিয়ে তুলেছে। কিন্তু বাজেট অনুযায়ী,পছন্দসই ফার্নিশিংস আর আসবাবের নির্বাচন করতে হবে।
প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে কীরকম অন্দরসজ্জা আপনার এবং আপনার পরিবারের পছন্দ—ট্র্যাডিশনাল নাকি ফিউশন। তারপরে আসবাব, ফ্লোরিং, বাড়ির বাইরের এবং ভিতরের রং অথবা ওয়ালপেপার। এই সবকিছুর দাম জেনে কিছুটা দরদাম করে, বাজেটের মধ্যে যেটা আসবে, সেই পছন্দের জিনিস দিয়েই সাজিয়ে তুলুন নিজের ‘একান্ত আপন’ বাড়িটিকে।
আর বাড়ি সাজবার আগে, যিনি ওই বাড়িতে থাকেন, তার প্রয়োজন এবং ইচ্ছে জেনে নেওয়া জরুরি। বাড়ির প্রত্যেকটি ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, বারান্দা, সেখানে কতটা করে জায়গা রয়েছে, কতটা জায়গা খালি ছাড়তে হবে ইত্যাদি মাথায় রেখে যখন বাড়িটিকে সাজাবার কথা ভাবা হয়, তখন তাকেই বলা হয় কাস্টমাইজড ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং। হোম ডেকর বিপণি ‘কালিস্টো এলিমেন্টস’-এর ডিরেক্টর হাজিক শেখ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'ব্যাক্তির প্রয়োজন, ঘরের রং, আসবাবের শেপ, ফ্যাব্রিক, মেটেরিয়াল, ডিজাইনিং, একের সঙ্গে অপরের সামঞ্জস্য বজায় রেখে সোফা, কুশন, দেয়াল, সিলিং, পর্দা—সবকিছুর বিশেষ খেয়াল রাখা হয়।'
বাজারে গিয়ে কিছু পছন্দসই জিনিস কিনলেন অথচ বাড়িতে নিয়ে এসে দেখলেন ঘরের আকার অনুযায়ী ঠিকমতো আঁটানো যাচ্ছে না—এরকম ঝামেলা অনেকসময় হয়ে থাকে। তাই, ‘অলসর্গ ইন্টিরিয়র ইন্ডিয়া’-র ডিরেক্টর সজল লাম্বা প্রসঙ্গত জানিয়েছেন, 'যেটাই বাড়িতে নতুন তৈরি করা হবে, তা যেন বাড়ির পুরো ডেকরের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে করানো হয় অথচ বাজেটও অ্যাপ্রুভ করে। লিভিংরুমটি হয়তো আকারে ছোটো অথচ দোকানে গিয়ে পছন্দ হল বড়োসড়ো একটি সোফা, কখনওই সেটা মানানসই হবে না। উপরন্তু জায়গাতেও সংকুলান ঘটবে। তার থেকে ভালো,ঘরের আকার অনুযায়ী কাস্টমাইজড সোফা বানিয়ে নেওয়া এবং সেইসঙ্গে ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রও।' তিনি আরও জানান, 'কাস্টমাইজড ইন্টিরিয়র বিভিন্ন রকমের ডিজাইন নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করে, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ির আভ্যন্তরীণ পরিবেশ,জায়গা ইত্যাদি দেখে বানানো হয়। এতে গ্রাহকের নিজস্ব পছন্দের বিষয়টিও বিদ্যমান থাকে। সারা বাড়ির ডেকর এইভাবে পুরো বদলে ফেলা সম্ভব।'