আজকালকার বাচ্চারা ফাস্ট ফুডের প্রতি বেশি ঝোঁক অনুভব করে। পাস্তা, পিৎজা, নুডলস এর প্রতি তাদের আকর্ষণ বেশি। কিন্তু শরীরের জন্য দরকার স্বাস্থ্যকর পুষ্টিবর্ধক খাবার। এতে শিশুর শারীরিক থেকে শুরু করে মানসিক বিকাশ সঠিক ভাবে প্রস্ফুটিত হয়। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দাঁত, ন্খ, হাড়, পেশি, ছুঁলের পুষ্টির জন্য শৈশব থেকেই বাচ্চাদের পুষ্টিকর, সুষম আহার দেওয়া উচিত। এর ফলে বাচ্চাদের শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক বাড়ন্ত বয়সে কী ধরনের Diet বাচ্চাদের দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
বাড়ন্ত বাচ্চাদের Diet-এ অবশ্যই রাখুন এই পুষ্টিকর খাবারগুলি
দুধ: গ্রোয়িং এজ-এ বাচ্চাদের দুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যাতে হাড় শক্ত ও মজবুত হয়। এছাড়াও দুধে ভিটামিন এ, বি২ এবং বি১২-ও থাকে, যা শারীরিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন। ব্রোকোলি: এতে থাকে ভরপুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এটা খেলে বাচ্চাদের হাড় মজবুত হবে। ব্রোকোলির স্যুপ করে অথবা অন্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন।
বাদাম: প্রতিদিন সকালে উঠে একমুঠো বাদাম বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে সঙ্গে মানসিক বিকাশেও সহায়তা করে। বাদামে নানারকমের খনিজ, ভিটামিন এবং হেলদি ফ্যাট মজুদ থাকে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও বাদাম সাহায্য করে। বাচ্চাদের উচ্চতা বাড়াবার ক্ষেত্রেও বাদামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ডেয়ারি প্রোডাক্ট: প্রোটিন ছাড়াও হাড়ের মজবুতি এবং গঠনের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। দই, ছানা, দুধ, মাখনের মতো ডেয়ারি প্রোডাক্টে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। দুধে থাকে হেলদি ফ্যাট, ফসফরাস এবং ম্যাগনেশিয়াম— যা বাচ্চার উচ্চতা বাড়াতে সহায়ক। ১ গেলাস দুধে প্রায় ৮ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন থাকে, যা কিনা মাংসপেশির নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিম: ফ্যাট এবং প্রোটিনে ভরপুর ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ১টি বড়ো আকারের ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডিমে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড হাড় শক্ত রাখে এবং এর নির্মাণেও সহায়তা করে। এছাড়াও ডিমে ভিটামিন ডি থাকে যার ফলে হাড়ে ক্যালসিয়াম ঠিকমতো পৌঁছোয়। ডিমেতে কলিন নামে পুষ্টিকর একটি উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কের বিকাশে কার্যকরী।