অনুকূল আবহে শরীরে যৌবনের স্রোত তীব্র হয়। আর সেই স্রোতে ভেঙে যায় লজ্জা কিংবা ভয়ের বাঁধ। বিয়ের আগেই সম্ভোগের Unplanned Sex – এর অভিজ্ঞতা হয় অনেকেরই। আর এই আনপ্ল্যান্ড সেক্স নিয়ে আলোচনা এবং পরামর্শ রইল এই লেখায়।
বিষয়ের গভীরে
কেউ-কেউ বিয়ের আগেই দেখাতে পারেন শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সাহস। তাই ফুলশয্যার আগেই অনেকে সঞ্চয় করেন সম্ভোগের Unplanned Sex অভিজ্ঞতা। ‘আরাধনা’ ছবির রূপ তেরা মস্তানা গানটির কথাই ভাবুন না! এ প্রসঙ্গে সুজিত সরকার পরিচালিত ‘ভিকি ডোনার’ ছবিটির একটি দৃশ্যও চোখের সামনে ভাসছে। অসীমার প্রেমিক ভিকি খুব স্মার্ট ছেলে। একদিন হঠাৎ অসীমার বাড়িতে ভিকি এসে দেখে, বাড়ি পুরো ফাঁকা। অসীমা ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই। ব্যস! পেয়ে গেল শারীরিক ঘনিষ্ঠতার অনুকূল পরিবেশ। ‘ঘরমে কোই নেহি হ্যায়! থোড়িই না লুডো খেলেঙ্গে’। হয়তো অসীমাও মনে-মনে ঠিক এমনটাই চেয়েছিল, তাই সে ভিকিকে বাধা দেয়নি।
আসলে যৌবন-ঢেউ যখন শরীরকে উত্তাল করে, তখনই ঘটে অঘটন। নিয়ম কিংবা অনুশাসনের সব বেড়া ভেঙে যায়। মন তখন পাপ-পুণ্যের বিচার করে না। যৌবনের স্বাদ আস্বাদনই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। তখনই অঘটন ঘটে যায় অনেকের জীবনে। আর যদি না-ও ঘটে থাকে, তাহলে ঘটতে কতক্ষণ? সমীক্ষা করলে হয়তো দেখা যাবে, আজকের যুগে সিংহভাগ ছেলে-মেয়েরই আচমকা সম্ভোগের অভিজ্ঞতা রয়েছে কিংবা বিয়ের আগেই সম্ভোগের স্বাদ নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
একটা সময় ছিল যখন শুধু পুরুষরাই যৌন স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকারী ছিল। নারী তার শরীর ও মনকে তুলে রাখত শুধু স্বামীর জন্য। বিয়ের আগে অন্য কারওর সঙ্গে মেয়েদের শারীরিক মিলনকে ‘পাপ কাজ’ বলে মনে করা হতো। কিন্তু সত্যিই কি এই সামাজিক অনুশাসন মানা সম্ভব হতো? হয়তো অনেককিছুই ঘটত কিন্তু সামাজিক চাপের কথা ভেবে কেউ স্বীকার করত না কিংবা প্রকাশ্যে আসত না ওইসব ঘটনা।
যাইহোক, এখন সময় বদলেছে। এখন মোবাইল, ইন্টারনেট-এর যুগ। যে-কোনও পর্নসাইট-এ ঢুকলেই যৌনতার দুনিয়ায় অবাধ প্রবেশ। তাছাড়া নারী-স্বাধীনতা, প্রি-ম্যারিটাল সেক্স প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আজকাল প্রচুর কাহিনিচিত্রও তৈরি হচ্ছে এবং তারই প্রতিফলন ঘটছে সমাজে। অনেকেই সেইসব ছবি দেখে উদ্বুদ্ধও হচ্ছে। অতএব, যখন খুশি সম্ভোগের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় কিংবা স্বাদ আস্বাদনের ঘটনা ঘটছে, ঘটবেও।
পরামর্শ
মেয়েরা এখন একাই পথ চলেন, একাই সিদ্ধান্ত নেন। পেশাগত কারণে ঘুরে বেড়াতে হয় দেশ-বিদেশে। কাজ করতে হয় নাইট শিফ্টেও। তাই জড়তাহীন মনোভাব থাকলে সঞ্চয় হতে পারে সম্ভোগের অভিজ্ঞতা। হতে পারে তা কোনও ইমোশনাল মুহূর্তে কিংবা ঘটনাচক্রে। অতএব, ‘জলে নামব অথচ গা ভেজাব না’– এমন সনাতন মানসিকতাকে ঝেড়ে ফেলুন মন থেকে। বরং তৈরি করুন সেক্স সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা। মনে রাখবেন, পুরুষের মতো নারী শরীরেও যৌনচাহিদা তৈরি হয় খুব স্বাভাবিক ভাবে। তাই, রপ্ত করুন সঠিক গর্ভনিরোধক কৌশল। হ্যান্ডব্যাগে রাখুন গর্ভনিরোধক সামগ্রী। যাতে হঠাৎ কারও সঙ্গে শারীরিক মিলন ঘটে গেলেও, ‘ভুল করেছি’ বলে আক্ষেপ করতে না হয়। কিংবা, যার সঙ্গে শারীরিক মিলন ঘটেছিল, অনিবার্য কারণে যদি তার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেও যায়, তাহলে ‘জীবন বৃথা’ বলে যাতে গিল্টি ফিল না করতে হয়।
কুমারীত্ব বা সতীচ্ছদ (স্ত্রী যোনিতে পাতলা পর্দাবিশেষ) নিয়ে এখন ভাবনার কিছু নেই। কারণ, ছেলেরাও এখন অনেক উদার হয়েছে। ফুলশয্যার রাতে স্ত্রীর সতীচ্ছদ আগেই ছিন্ন হয়েছে (সম্ভোগ, সাইক্লিং কিংবা আঘাতজনিত কারণে ছেঁড়ে) বুঝতে পারলেও আধুনিক মনস্করা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে না। আর ফুলশয্যা রাতে যদি ‘অজ্ঞ’ স্বামীর মুখ থেকে ‘ইউজ্ড’ শব্দটি শোনার আশঙ্কা থাকে, তাহলে নিজেকে ‘কুমারী’ প্রমাণ করার জন্য সার্জারি করিয়ে নিতে পারেন। মেডিকেল সায়েন্স এখন সেই পথও খোলা রেখেছে। কয়েক হাজার টাকার (দশ থেকে কুড়ি হাজার) বিনিময়ে একটা ছোট্ট সার্জারির মাধ্যমে (হাইমেনোপ্লাস্টি) যৌনাঙ্গে কৃত্রিম সতীচ্ছদ তৈরি করা সম্ভব।
সতর্কতা
নিজের ইচ্ছে মতো সুরক্ষিত যৌনতার জন্য মেডিকেল প্রিকশন সর্বদা সঙ্গে রাখুন। আর যদি প্রিকশন ছাড়া কারও সঙ্গে হঠাৎ ইমোশনালি দৈহিক সম্পর্ক হয়ে যায়, তাহলে ব্যবহার করুন ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল। তবে চাপমুক্ত থাকতে পুরুষ বন্ধুটি যৌনরোগমুক্ত আছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই কন্ডোম কিংবা কপার্টি ছাড়া Unplanned Sex করুন।