কবিতা আর অনুরাগের বিয়ের পর কেটে গেছে ১২ বছর। যথেষ্ট সুখের সংসার কবিতার। অন্তত তাই মনে হয় তার। কিন্তু অনুরাগ কবিতার মতো ভাবে না। তার মনে কোথাও একটা অসন্তুষ্টি রয়ে গেছে। নয়তো কেন তার বারবার মনে হয় কবিতাকে বিয়ে না-করে অন্য কাউকে বিয়ে করলে আরও ভালো হতো তার জীবনটা। কই, অনুরাগের মনে চারবছর আগে অবধিও এই ভাবনাটা আসেনি তাহলে হঠাৎ আজ কেন? কবিতা যথেষ্ট স্মার্ট, সুন্দরী এবং আধুনিকা। গুছিয়ে সংসার করে। ওর বিরুদ্ধে কিন্তু অনুরাগের কোনও অভিযোগ নেই। অনুরাগ ও কবিতার সংসারের মতো অবস্থা আজ বহু দম্পতির।

বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্ত্রীয়ের ভালো গুণগুলি আর চোখে পড়ে না। বহু স্বামীই তখন স্ত্রীর বদগুণগুলোই বেশি করে খেয়াল করেন। অথচ স্বামী এবং পরিবারের প্রতি স্ত্রীয়ের আচরণে কিন্তু কোনও পরিবর্তন আসে না। তৎসত্ত্বেও অর্ধাঙ্গিনীর উপর থেকে স্বামীর অনুরাগ কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীয়েরা সম্মুখীন হন স্বামীর অবহেলার এবং প্রতারণার। দাম্পত্যের ভিত আলগা হওয়া শুরু হয়। এর মূল কারণ খুঁজতে গেলে দেখা যায় পুরুষের অহংকারই বিচ্ছেদের শিকড়।

অধিকাংশ পুরুষের মনে স্ত্রী-কে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করার মানসিকতা তৈরি হয়। নিজেরা দায়িত্ব থেকে দূরে থেকে, স্ত্রীয়েদের থেকে এক্সপেকটেশনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কথায় কথায় স্ত্রীকে ছোটো করা, তার সমস্ত ইচ্ছায় দমবন্ধ করে দেওয়ার মানসিকতায় পুরুষদের জন্মসিদ্ধ অধিকার।

স্ত্রী গৃহিণী হোক অথবা চাকুরিরতা, কোনও কারণে যদি স্বামীর মনে হয়, তার থেকে স্ত্রীয়ের কার্যক্ষমতা বেশি, তাহলেই স্ত্রীকে সে সবথেকে বড়ো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরে নেয়। কর্মক্ষেত্রে যেটা তাকে পদোন্নতির দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে, দাম্পত্যজীবনে সেটাই ভাঙনের সৃষ্টি করে।

স্ত্রীকে দমিয়ে রাখার মানসিকতা বেশিরভাগ পুরুষের মধ্যেই রয়েছে। স্ত্রী চাকুরিরতাই হোক বা হোমমেকার, স্বামী সবসময়ই চায় বাড়ি এবং বাইরের সব দায়িত্ব স্ত্রী একাই সামলাবে এবং তাও খুবই সুনিপুণ ভাবে। ভুলচুক হওয়া চলবে না। স্ত্রীয়ের দায়িত্ব নিজের উপর না-নিতে পারলেও, বিশ্ব-সংসারের বোঝা স্ত্রীয়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে বহু স্বামীরই কোনও দ্বিধা বোধ হয় না। স্ত্রী-র, মুখ বন্ধ করে রাখাও যেমন স্বামীদের পছন্দ নয় তেমনি মুখের উপর তর্ক-বিতর্কও তাদের অপছন্দ। বহু পুরুষ এমনও আছে যাদের স্ত্রীকে বাইরে কাজে পাঠাতে কোনও অসুবিধে নেই কিন্তু কাজের জায়গায় স্ত্রীয়ের সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হলেই আকাশ ভেঙে পড়ে স্বামীর মাথার উপর। এক্ষেত্রে স্ত্রীয়ের পোশাক নিয়েও, স্বামীদের হাজারো উপদেশ স্ত্রীয়ের উপর বর্ষিত হয়। স্ত্রী যদি শুধুমাত্র গৃহিণী হয়, তাহলেও স্বামীর শব্দবাণের ঠেলায় তারও জীবন ওষ্ঠাগত হয়। বাড়িতে বসে থেকে স্ত্রী নাকি আন্দাজই করতে পারে না যে, স্বামী কত পরিশ্রমে অর্থ উপার্জন করে নিয়ে আসছে আর স্ত্রী বাড়িতে বসে বসে সেই কষ্টের সঞ্চয় ধবংস করছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...