আমার ছয় বছরের মেয়ের বিহেভিয়ারে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করছিলাম বছর খানেক আগে। স্কুলে যাবার নাম শুনলেই ও ভীষণ রকম ভয় পেত। এমনকী স্কুলে যাবে না বলে কান্নাকাটি করেছে। রাতে শুতে যাওয়ার সময়েও আমাকে বা আমার হাজব্যান্ডকে পাশে চাইত। সব থেকে বড়ো কথা, বলত, মুত্রত্যাগের সময় নাকি ইউরিনাল ট্র্যাক-এ ব্যথা অনুভব করছে। আমি রীতিমতো ভয়ে আছি এখনও, সিরিয়াস কিছু নয়-তো? মেয়েটা মলেস্টেশনের শিকার হয়নি-তো! ও বেশ মনমরা থাকে৷পরে এর প্রভাব গুরুতর হবে না তো?

সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে আমি আমার মেয়েকে আবার আগের মতো প্রাণোচ্ছল দেখতে চাই, আর নিজেও চিন্তামুক্ত হতে চাই। কী করব?

আপনি নিজেই বলছেন যে, আপনি রীতিমতো ভয়ে আছেন এই সংশয়ে যে, ‘আপনার মেয়ে মলেস্টেশনের শিকার নয় তো?’ আবার সঙ্গে এও বলছেন, সবকিছু ভুলে মেয়েকে আগের মতো প্রাণোচ্ছল দেখতে চাইছেন। সবার আগে নিজেকে বুঝুন, যে আপনি ঠিক কী চাইছেন।

যে-কোনও মায়ের প্রাথমিক কর্তব্যই হল বাচ্চাকে সুরক্ষা প্রদান করা এবং তার দেখভাল করা। যদি আপনার বাচ্চা মলেস্টেশনের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি আপনার কর্তব্য যথাযথ ভাবে পালন করতে পারেননি। আপনার বাচ্চার সঙ্গে কথা বলে তার সমস্যাটা জানার চেষ্টা করুন, সঙ্গে অ্যাশিওর করুন, যে-কারণে সে ভয় পাচ্ছে, সে ঘটনা তার সঙ্গে দ্বিতীয়বার ঘটবে না। আপনারা সাহায্যের জন্য সবসময় তার পাশে থাকবেন।

এই ব্যাপারটা যদি স্বামীর কাছে লুকিয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে অবিলম্বে ওনার সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। আপনার সংশয় এবং মেয়ের ইউরিনাল ট্র্যাক-এ ব্যথার কথা জানান ডাক্তারকে। প্রয়োজনমতো উনিই সমস্ত পরীক্ষা করে নেবেন।

সমস্ত চেক-আপের পর ডাক্তার যদি আপনার সঙ্গে একমত হন তাহলে ভেঙে না পড়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মেয়ের পাশে পাশে থাকুন। জানতে চেষ্টা করুন কী ঘটেছিল, কার দ্বারা মেয়ে মলেস্টেশনের শিকার হয়েছে। মেয়ের থেকে সমস্ত ঘটনা জানার পর আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন। অনেকেই বদনামের ভয়ে পিছিয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রে আবার এ-ও দেখা গেছে কালপ্রিট কোনও নিকট আত্মীয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের লোকজন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ভয়ে বেমালুম ব্যাপারটা চেপে যান। এগুলো একেবারেই উচিত নয়। এই সমস্ত পেরেন্টদের কারণে অপরাধীরা অন্যায় করেও প্রশ্রয় পেয়ে যায়। তাই আমি বলব জানা মাত্র থানায় এফআইআর দায়ের করুন। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। তাদেরও কনভিন্স করুন আপনাদের সাহায্য করতে। বাচ্চাকে স্কুলে পৌঁছোনোর জন্য যদি গাড়ির ব্যবস্থা থেকে থাকে, তাহলে সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। মনে রাখবেন। যারা ফুলের মতো শিশুদেরও নিজেদের বিকৃত কামনা-বাসনা চরিতার্থ করতে ব্যবহার করে, সেইরকম নিকৃষ্ট, ঘৃণ্য অপরাধীদের অবিলম্বে সাজা হওয়া প্রয়োজন। তাই ভয় না পেয়ে এগিয়ে যান।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...