আমার বয়স ২১ বছর। আমাদের ফ্যামিলি খুবই ট্র্যাডিশনাল। মায়ের মুখে শুনেছি, আমার জন্মের পরপরই আমার দাদু ঘোষণা করেন যে বড়ো হয়ে আমার বিয়ে হবে আমাদেরই পরিবারের এক বন্ধুর ছেলের সঙ্গে, আমার জন্মের সময় যার বয়স ছিল ৬ বছর। ছেলেটির দাদু এবং আমার দাদু দু’জন বন্ধু ছিলেন। সেই সূত্রেই আমি বাগদত্তা হই।
আমার সঙ্গে কার বিয়ে হবে সেটা শুনতে শুনতেই আমি বড়ো হয়েছি। প্রথমটায় অবশ্য কিছুই বুঝতাম না, একসঙ্গে ছোটোবেলায় খেলা করতাম। কিন্তু যত বড়ো হয়েছি ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি এবং ধীরে ধীরে একে অপরকে ভালোবেসেও ফেলেছি। এখন ছেলেটির বয়স ২৭ বছর।
গত মাসে হঠাত-ই বাবার সঙ্গে জেঠুর একটা মনোমালিন্য শুরু হয় আমাদের পারিবারিক ব্যাবসা নিয়ে। বিরাট পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হয় যার দায় একে অপরের ঘাড়ে বাবা-জেঠু চাপাবার চেষ্টা চালান। দাদুদের বন্ধুত্বের স্ট্রং বন্ডিং-টাও এখন আর নেই যেহেতু ওনারা দুজনেই আজ আর আমাদের মধ্যে নেই।
এই বিবাদের ফলে ওনারা এখন দুজনেই ঠিক করেছেন একসঙ্গে ব্যাবসা আর করবেন না এবং সন্তানদের একে অপরের সঙ্গে ঠিক হয়ে থাকা বিয়েটাও ওনারা ভেঙে দিয়েছেন।
এতে আমরা দু’জনেই ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছি। আমি এই ব্যাপারে নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করতে রাজি আছি কিন্তু ছেলেটি রাজি নয়। ওর মতে বড়োদের বিরোধিতা করে বিয়ে করলে সেই বিয়ে সুখের হয় না। এই মতামত জানিয়ে ও আমার সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেছে। এতে আমি মানসিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েছি। আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হচ্ছে। কীভাবে এই ঝড় কাটিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না। পরামর্শ দিন।
আপনার ‘উড বি একজন মেরুদণ্ডহীন পুরুষ, এতে কোনও সন্দেহ নেই। ওকে ভোলার চেষ্টা করুন কারণ উনি আপনার কান্নার যোগ্য নন। আপনার বয়স এখন খুবই অল্প। যেহেতু আপনি জ্ঞান হওয়া থেকেই ওই ছেলেটির সঙ্গেই বিয়ের স্বপ্ন দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাই আপনার এখন মনে হচ্ছে ওকে ছাড়া আপনার জীবন শূন্য। চারপাশে ভালো করে তাকালেই বুঝতে পারবেন আপনার উপযুক্ত অনেক ছেলেই রয়েছে যারা আপনাকে সুখী করতে পারবে।