আমার বয়স ১৯। আমার চুল লম্বা এবং ঘন ঠিকই কিন্তু চুলের ডগা বেশির ভাগই ফাটা। এছাড়াও চুল খুব ফ্রিজি এবং ড্রাই। ব্র্যান্ডেড শ্যাম্পু ব্যবহার করে দেখেছি, কোনও লাভ হয়নি। সেজন্য আমার চুলে কোনওরকম হেয়ারস্টাইলও করা যায় না। এর কী সমাধান? চুল কীভাবে নরম ও মসৃণ করব?
চুলের ডগা বা নীচেটা ফেটে যাচ্ছে মানে তাতে ময়েশ্চার ও প্রোটিনের অভাব রয়েছে। ঘন ঘন কড়া শ্যাম্পু ব্যবহার করলে, অতিরিক্ত হাইলাইট বা কালার করলে, বেশি চুল আঁচড়ালে, অতিরিক্ত স্টাইলিং, জিনগত কারণে চুলের ডগা ফেটে যায়। আপনি চুলে প্রোটিন-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তারপর প্রোটিন ক্রিম লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। ২ মাস পর পর চুলের ট্রিমিং-ও করাতে থাকুন। চুল যখনই ধোবেন ঠাণ্ডা জলে ধোবেন কারণ গরমজল চুলের ক্ষতি করে। এছাড়াও প্রচুর জল পান করুন। পর্যাপ্ত জল না খেলে চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। অ্যালোভেরা, ডিম চুলের স্বাস্থ্য ও জৌলুস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন এবং ফ্যাট চুলের জন্য খুব উপকারী। এটি চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। মধু এবং দই ব্যবহার করেও চুলের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে পারেন এবং এর জৌলুস বজায় রাখতে পারেন। চুল ভালো রাখতে এড়িয়ে চলুন চড়া রোদ্দুর, চুলের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, স্টাইলিং ইকুপমেনট, কড়া শ্যাম্পু। ব্যবহার করুন কনডিশানার, নারকেল তেল, হেয়ার সিরাম, চুলের মাস্ক ইত্যাদি।
চুলের প্রয়োজনীয় যত্ন না করলেই চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। যখনই বাড়ির বাইরে যাবেন, বাইরের দূষণ থেকে চুলকে প্রোটেক্ট করার ব্যবস্থা নিন। চুলের Dry and Frizziness দূর করার জন্য নারকেল তেল বা অলিভ তেল সামান্য গরম করে মাথায় ও চুলে ভালো করে মালিশ করুন। আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। চুলকে বিভিন্ন সাজে সাজাবার জন্য জেল ওয়্যাকস ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রিজি হয়ে যাওয়া চুলের অংশে নিয়মিত ট্রিম করা দরকার। সপ্তাহে একদিন ভিনিগার দিয়ে চুল ওয়াশ করুন। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার জলে মিশিয়ে কনডিশনার হিসেবে লাগান। কলা এবং ডিম মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে সপ্তাহে ৩ দিন চুলে লাগান। তফাত নিজেই বুঝতে পারবেন।