আমার বয়স ২৫ বছর। আমার মুখের ত্বকের রং এক এক জায়গায় এক এক রকম। আমার গলা, ঘাড়ের ত্বক শরীরের অন্য অংশের তুলনায় কালো। স্লিভলেস পোশাক পরতে পারি না কারণ আন্ডারআর্মে কালো প্যাচ থাকার কারণে। শরীরের এক এক জায়গায় এক এক রকম ত্বকের রং আলাদা হওয়ার কী কারণ এবং কী করলে এই সমস্যা দূর হবে যদি পরামর্শ দেন?
আপনার মতো অনেকেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। এর জন্য কিছু ঘরোয়া উপাচার আপনি ট্রাই করতে পারেন। যেমন, মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি গলায়, ঘাড়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২০-২৫ মিনিট পেস্ট-টি লাগিয়ে রেখে ভিজে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে পুরো মুছে নিন। ১ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। যে-অংশে কালো ভাব বেশি মনে হচ্ছে সেখানে পেস্টটা লাগিয়ে মাসাজ করুন নিয়মিত। এতে কালো ভাব কয়েকদিনের মধ্যেই দূর হয়ে যাবে। সম্ভব হলে সামান্য লেবুর রসও পেস্টটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া গলা এবং ঘাড় পরিষ্কার করার জন্য চারকোল অথবা ব্লিচের ব্যবহারও কার্যকরী। ত্বকে গাঢ় এবং ট্যানড প্যাচ পড়ার কারণ হল ত্বককে আমরা সবসময় এক্সফলিয়েট করি না। দূষণ, নোংরা ধুলোমাটি, ঘামের সঙ্গে ত্বকে বসে যায়। ধীরে ধীরে এর ফলে ত্বকের উপর একটা মোটা পরত জমে যায়। ত্বকের মৃত কোশ এবং ধুলোময়লাযুক্ত এই পরতের কারণে ত্বক কোথাও হালকা আর কোথাও গাঢ় রঙের হয়ে যায়। এর জন্য জরুরি সপ্তাহে দুবার ত্বকে স্ক্রাব এবং ফেসমাস্ক ব্যবহার করা। বাড়িতে ঘরোয়া উপায়ে স্ক্রাব এবং ফেসমাস্ক বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
বগলের নীচে ত্বকে কালচে ভাব নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। পোশাকের সঙ্গে বারবার ত্বকে ঘষা লাগার ফলে সেখানে মৃত কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বা চাপা জামাকাপড় পরলেও ত্বকে ঘষা লাগে, ফলে সেখান থেকে কালো ছোপ পড়তে পারে। নানারকম ত্বকের সমস্যার কারণে বগলে কালো ছোপ দেখা দিতে পারে। যদি ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। আমরা নানারকম ডিওডোরেন্ট আমাদের আন্ডার আর্মসে ব্যবহার করে থাকি। তার মধ্যে যে কেমিক্যাল থাকে সেটার প্রভাবও আপনার বগলের কালো ছোপের অন্যতম কারণ হয়ে থাকতে পারে। শেভিং করার কারণেও অনেক সময় আন্ডার আর্মস-এর ত্বক রুক্ষ এবং কালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে লেবুর রস, অলিভ অয়েলের সঙ্গে ব্রাউন সুগার মিশিয়ে, আলুর রস বা গোলাপ জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে ত্বকে লাগালে কিছুদিনের মধ্যে উপকার পাবেন অবশ্যই।