আমার বয়স ২৬ বছর এবং আমি অবিবাহিত ও কর্মরতা। আমি মা-বাবার একমাত্র সন্তান। আমার বাবার এবং আমার মোবাইল ফোনটি একই মডেলের। ভুলবশত এক রাতে আমি বাবার ফোনটি নিয়ে ঘরে ঢুকে যাই। ফোন বেজে ওঠায় দেখি এক অপরিচিত মহিলা কল করছেন। আমি ফোন রিসিভ করা মাত্র একটা আদরের নামে তিনি আমার বাবাকে সম্বোধন করে কথা বলতে শুরু করেন। আমি উত্তর না দিয়ে ওঁর কথা শুনে আন্দাজ করতে পারি আমার বাবার সঙ্গে এই মহিলার একটি অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাবার ফোনটা যথাস্থানে রেখে নিজের ফোন নিয়ে ফিরে আসি। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে বাবার প্রতি আমার শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, সবই কেমন যেন ভেঙে গেছে। যাঁকে জীবনের আদর্শ করেছিলাম, তার এই চারিত্রিক স্খলন আমায় খুব যন্ত্রণা দিয়েছে। কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। তাই আপনাদের কাছে বলে মনের ভার লাঘব করলাম।

  • ঘটনাটা নিঃসন্দেহে আপনার জন্য শকিং, তবে প্রাথমিক আঘাতটা নিশ্চয়ই আপনি এতদিনে কাটিয়ে উঠেছেন। অতএব এটা লজিক্যাল হওয়ার সময়। আপনার মা-বাবার মধ্যে সম্পর্ক কেমন, সে বিষয়ে আপনি কিছু লেখেননি। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি ওঁদের দাম্পত্যের মধ্যে ঢুকে পড়েছে মানে বুঝতে হবে ওঁদের সম্পর্কের মধ্যে হয়তো কোনও ফাটল ছিল। একজন প্রাপ্তবয়স্ক কন্যা হিসেবে আগে সেই দূরত্বের কারণ অনুসন্ধান করুন। মায়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলুন, এই তৃতীয় ব্যক্তির প্রসঙ্গ না তুলে। বাবার সঙ্গেও কথা বলুন ও জানার চেষ্টা করুন তিনি এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কটার ব্যাপারে আদৌ কতটা সিরিয়াস। বা তিনি এই সম্পর্কের কী পরিণতি চান। যদি দেখা যায় তিনি এ ব্যাপারে সিরিয়াস, তবে তাঁকে আপনাদের ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে বলুন। আর আপনার যদি মনে হয় আপনার বাবার এটা নিছকই একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক যা নিয়ে তিনি কোনও ডেস্ট্রাক্টিভ ডিসিশন নেবেন না, তাহলে বিষয়টি নিয়ে অযথা জলঘোলা করবেন না।

 

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...