কারও ভালো লাগে পাহাড়, কারও আবার সমুদ্র। অনেকের আবার জঙ্গল। হানিমুন যেহেতু দু’জনের তাই গুরুত্ব দেওয়া উচিত দু’জনের ইচ্ছেকেই। অনেকের মনের মধ্যেই Honeymoon-কে ঘিরে নানা সুপ্ত বাসনা থাকে। অনেকেই স্বপ্ন বুনে ফেলেন ঠিক কী কী করবেন তাঁরা। আসল কথা হল মধুচন্দ্রিমা ব্যাপারটা সব সময়ই খুব স্পেশ্যাল। তা পুরুষ বা নারীর দু'জনের কাছেই। তাই আগে মিলিয়ে নিন সেই ইচ্ছে। তারপর ব্যাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হানিমুনের মধ্যেই নাকি লুকিয়ে থাকে দম্পতির চারিত্রিক গুণ। তাই বিয়ের পর সঙ্গীর কাছে নিজেকে মেলে ধরার জন্য হানিমুনের সময়টাকেই বেছে নিন৷ বিশেষ করে Arranged marriage হলে অনেকের ক্ষেত্রেই আগে থেকে পরস্পরকে চেনার তেমন সুযোগ থাকে না৷ বিয়ের হইহট্টগোল, আত্মীয়স্বজন, নতুন জীবনে প্রবেশের টেনশন কাটিয়ে, পরস্পরকে চেনার সঠিক সময় হল মধুচন্দ্রিমার অবকাশ৷ সেটার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করুন৷
আপনার মনের মানুষটি কেয়ারিং কিনা, রোমান্টিক কিনা এটা জানার উপযুক্ত সময়ও হনিমুন৷ কেউ কেউ খুবই গুছিয়ে হনিমুন প্যাকেজ নেন৷ কোনও কোনও স্বামী এসব নিয়ে ভাবেনই না। বরং তাঁরা বিশ্বাস করেন, যখন যেটা, তখন সেটা। একেবারে স্রোতে ভাসা। যে-কোনও জায়গায় হুট করে চলে যাওয়া, তারপর সেইমতো ব্যবস্থা৷ এর দরুণ আপনি কয়েকটা জিনিস পরিষ্কার বুঝতে পারবেন৷ প্রথমত আপনার স্বামী হঠকারি কিনা৷ দ্বিতীয়ত ট্রাবল শুটার কিনা৷ আনপ্ল্যানড টুরের নানা ঝামেলা সামলাতে পারেন কিনা৷
আমাদের পরামর্শ টুর প্ল্যান এমনভাবে করুন, যাতে তাড়াহুড়ো না থাকে। দরকার পড়লে গোটা একটা দিন হোটেল রুমেই সময় কাটান। কখনও বিছানায়, কখনও রুমের বারান্দায়। দু'জনে দু'জনকে মনের কথা খুলে বলুন৷ পরস্পরের থেকে কী আশা করেন তাও জানান৷ দু'জনের রুচি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানার এটাই সেরা অবকাশ৷
ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না। আজকাল অবশ্য ফোনের সঙ্গে দুর্দান্ত ক্যামেরা থাকেই। প্রতিটি মুহূর্তকে ক্যামেরায় বন্দি করুন। হানিমুন থেকে ফিরে সেরাগুলো ফ্রেম করুন।