ছোটো পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারির সন্তানের জন্মের পর স্বামীর সঙ্গে Divorce-এর মামলায় মুম্বইয়ের উচ্চ আদালত জানিয়েছে, শ্বেতা ব্যস্ত অভিনেত্রী ঠিকই কিন্তু সে তার পাঁচ বছরের ছোটো ছেলেকে একা বড়ো করে তুলতে পারবে না, এটা ভুল ধারণা।
বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শারীরিক, মানসিক এবং সম্পত্তি বিষয়ক ঝগড়ার থেকেও বেশি মর্মান্তিক হয়ে ওঠে সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার দড়ি টানাটানির বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অসহায় বোধ করে সন্তান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান বঞ্চিত হয় পিতৃস্নেহ থেকে।
মনে রাখা দরকার, সন্তানের জন্মের পর খুব স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মে পিতা এবং সন্তানের মধ্যে এক আন্তরিক বন্ধন তৈরি হয়ে যায়। পৃথিবীর সমস্ত দুঃখকষ্ট ভুলে, অর্থ-সম্পত্তি বিসর্জন দিয়ে সন্তানকে সঙ্গে রেখে বড়ো করে তুলতে চান অনেক পিতা। মা হয়তো ৯-১০ মাস গর্ভে ধরেছেন, কষ্ট সহ্য করে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, বুকের দুধ খাইয়েছেন, রাত জেগেছেন, তাই সন্তানের প্রতি তার দাবি হয়তো বেশি থাকতে পারে কিন্তু সন্তানকে স্নেহ-ভালোবাসার অধিকার পিতারও আছে।
সন্তানের জন্য প্রাক্তন স্বামীর থেকে যদি আর্থিক সাহায্য নেওয়ার বিষয় থাকে, তাহলে হয়তো কখনও-সখনও সন্তানের সান্নিধ্য পান পিতা কিন্তু মা যদি উপার্জনকারী হন, তাহলেই বেশিরভাগ মা তার সন্তানকে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করেন।
সন্তান কী চায়, এই বিষয়টি সবসময় স্পষ্ট ভাবে সামনে আসে না। কারণ হয় সে বলতে পারে না কিংবা মায়ের সান্নিধ্যে বেশি থাকার জন্য নিরুপায় হয়ে পড়ে। অথচ মা-বাবা দুজনের সঙ্গে থেকে হয়তো ভালোবাসা পেতে চায় সে। অনেক ক্ষেত্রে সন্তানের সঙ্গে মায়ের যতটা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, ঠিক ততটা সুমধুর সম্পর্ক হয়তো গড়ে ওঠে না পিতার সঙ্গে। মায়ের সঙ্গে যতটা ইমোশনাল, বাবার সঙ্গে ততটা নয় হয়তো। কিন্তু তবুও মা-বাবার বিবাদের কারণে, বিচ্ছেদের কারণে সন্তান চাইলেও পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এ বড়ো বেদনাদায়ক! অনেক ক্ষেত্রে শৈশবের কোমল অনুভতিগুলো থেকেও বঞ্চিত হয়ে এক গভীর মানসিক অসুখে ভোগে সন্তান।