আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাদের মধ্য থেকেই তৈরি হবে বিজ্ঞানী, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, ব্যবসায়ী, দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ, দক্ষ প্রশাসক, উদ্যোক্তা, খেলোয়াড়, সমাজকর্মী, শিল্পী, কবি-সাহিত্যিক ইত্যাদি। তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং বিশ্বকল্যাণের কাজ করবে। এই গুরুদায়িত্বের ভার কিন্তু বর্তায় অবিভাবক এবং শিক্ষক উভয়ের উপরই।
প্রাচীনকালে জ্ঞান আহরণই ছিল শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই Teacher শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞান দান করতেন। বর্তমান সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যও ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ফলে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকের প্রধান কাজ, জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আদর্শ নাগরিক হিসাবে তৈরি করা এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সুষ্ঠু সম্পর্ক গড়ে তোলা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য এখন চাকরিমুখি, এ ছাড়া এখন শিক্ষার আর যেন কোনও উদ্দেশ্য নেই।
শিক্ষক মানুষকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিয়ে সমাজে মাথা তুলে দাঁড়াবার উপযুক্ত করে তোলেন। শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের সম্পর্ক যত ভালো হবে, বন্ধুত্বপূর্ণ হবে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে তত ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষক যেমন সম্মানীয়, তেমনি শিক্ষকের কাছে তার শিক্ষার্থীরা সন্তানের মতো প্রিয়। নিজের বিদ্যা-বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন এমনকী ব্যক্তি জীবনেও তাদের সাফল্য ও ব্যর্থতায় শিক্ষককে স্মরণ করে। তাই ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হল সাফল্য- ব্যর্থতা, গ্লানি কিংবা গবের সমান অংশীদারিত্বের সম্পর্ক। শিক্ষকের সান্নিধ্যে এসে শিক্ষার্থীরা জীবনকে জানতে, চিনতে ও বুঝতে শেখে।
শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে যান জ্ঞানের পথে, আলোর পথে বিচার বুদ্ধি দিয়ে কাজ করার জন্য। Teacher যে-দর্শন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীরা তাদের জীবনের ব্রত ঠিক করে। একজন ভালো শিক্ষক বিপথে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীকেও সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারেন এবং তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ছাত্র ও শিক্ষকের এই সম্পর্ক খুবই সাবলীল, মধুর, আবার গাম্ভীর্যপূর্ণ।