বর্তমানে কোভিড পরবর্তী সময়ে যখন দেশের অর্থনীতি ব্যাকফুটে, আয় কমে গেছে বেশিরভাগ মানুষের, তখন  কীভাবে পরবর্তী সময়ে সংসারের দায়িত্ব সামলাবেন, তা ভেবে রাখা জরুরি৷ আমরা সমাজবদ্ধ জীব৷ তাই লোকলৌকিকতা,সাধ আহ্লাদ লেগেই থাকে৷ কিন্তু বর্তমানে আর্থিক অবস্থার অবনতি আপনার সামাজিক জীবনযাপনের উপর প্ৰভাব ফেলতে পারে৷ জীবনের বিভিন্ন লক্ষ্য পূরণ করতে ও ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে সঞ্চয় জরুরি। আর সঞ্চয় থেকে যদি নিয়মিত আয়ের রাস্তা সুগম হয়, তাহলে সোনায় সোহাগা। আর এখানেই Monthly Income plan বা এমআইপি-র গুরুত্ব।

আমাদের দেশে  জীবনবিমা মূলত পার্টিসিপেটিং এন্ডোমেন্ট এবং মানি ব্যাক প্ল্যানের দ্বারা সঞ্চালিত হয়। উদারীকরণের পরবর্তী সময়ে Unit Linked Insurance Plan (ULIP) জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাজারের পাশাপাশি গ্রাহকের কাছে এর প্রভাব অনস্বীকার্য। ২০০৮-এ আসা মন্দার আগে উপভোক্তারা ইক্যুয়িটি বাজারে বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইক্যুয়িটি বাজারের অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির ফলে গ্রাহকেরা ইক্যুয়িটি বাজার ছেড়ে বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্রের দিকে নজর দিয়েছেন। মূলত যে-বিনিয়োগে রিটার্ন অনেকটাই নিশ্চিত, সেদিকেই ইনভেস্টমেন্ট-এর ঝোঁক বেড়েছে। উপভোক্তাদের নতুন ভাবনা, ভালো এবং রিটার্নে কিছুটা নিশ্চয়তা পাওয়ার আকাঙক্ষার ঝোঁক-এর প্রেক্ষিতে বিমা কোম্পানিগুলি বিভিন্ন রকমের এন্ডোমেন্ট প্ল্যান বাজারে ছেড়েছে।বাজারের ট্রেন্ড, দীর্ঘকালীন বিনিয়োগ প্ল্যানের ক্ষেত্রে গ্রাহক নিশ্চিত রিটার্ন পেতেই বেশি আগ্রহী।

ইউলিপের বদলে সাধারণ মানুষের ট্র্যাডিশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান-ই বেশি পছন্দ। অন্যান্য কোম্পানি দ্বারা স্বতন্ত্র অনুসন্ধান ছাড়াও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, কানারা, এইচএসবিসি, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অফ কমার্স, লাইফ ইনশিয়োরেন্স কোম্পানিগুলি দ্বারা সঞ্চালিত গ্রাহক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গ্রাহকেরা নিয়মিত আয় প্রাপ্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এজন্য মান্থলি ইনকাম স্কিম বাজারে এত জনপ্রিয় হয়েছে।বিভিন্ন রকম এমআইপি পাওয়া যায়। তাই কোন এমআইপি আপনার জন্য পারফেক্ট হবে, তা ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।

বিমা কোম্পানির এমআইপি কী ধরনের কাজ করে থাকে?

সাধারণ ভাবে MIP ১০-১৫বছর মেয়াদের পর প্রতি মাসে রিটার্ন দিয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে আবার বছরে একবার রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ থাকে। কোনও কোনও এমআইপি-তে বাড়তি সুবিধা হিসাবে লাইফ কভারও দেওয়া হয়। সাধারণত অন্যান্য পলিসিতে এই সুবিধা পাওয়া যায় না। ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং-এ টাকা জমা রাখার তুলনায় এমআইপি বহুলাংশে লাভজনক। কারণ এফডি বা রেকারিং-এ লাইফ কভারের কোনও ফেসিলিটি নেই। ফলে ডিপোজিটারের অকস্মাৎ মৃত্যু হলে এমআইপি-র ক্ষেত্রে নমিনি-র আর্থিক দিক কিছুটা সুরক্ষিত থাকে। তবে প্রতিটি প্ল্যানেই লাইফ কভারের ধরণ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। তাই কোন এমআইপি আপনার জন্য যথাযথ তা সবার আগে দেখে নেওয়া উচিত।এমআইপি-র ক্ষেত্রে মেয়াদের পূর্বে কোনও ব্যক্তি মারা গেলে, নমিনি পলিসির পুরো টাকাটাই পাবে। সেক্ষেত্রে মেয়াদের সময়সীমা পর্যন্ত প্রিমিয়াম জমা না দেওয়া হলেও প্রিমিয়ামের টাকা বাদ দেওয়া হবে না, বরং নমিনি সম্পূর্ণ প্রাপ্য টাকা পাবে। অর্থাৎ পলিসি অনুযায়ী ম্যাচিওর ভ্যালু-র অর্থই পাবে তার উত্তরসূরি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...