ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা ভারতীয় শ্বশুরের জামাই হওয়া সত্ত্বেও ঋষি সুনক কিন্তু ব্রিটেনে ভারতীয়দের প্রবেশের বিষয়ে নেতিবাচক পদক্ষেপই করছেন। ইংল্যান্ডের রক্ষণশীলরা ‘রেস, রিলিজিয়ন অ্যান্ড কালার' বিষয়ে এখনও ততটাই বিভেদকামী, যেমন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে পাড়ার পুরোহিতের দৃষ্টিভঙ্গি । ঋষি সুনকদের ভয় গোটা ইংল্যান্ড আর গোরাদের দখলে রাখা সম্ভব হবে না যদি না এখনই এই নিয়ন্ত্রণ তৈরি করা যায়। ব্রিটেনে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে তাই কড়া পদক্ষেপ ঋষি সুনকের। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন কোনও অবৈধ অভিবাসীর স্থান হবে না ব্রিটেনে। এমনকী শরণার্থী হয়ে থাকার জন্যও আবেদন করতে পারবেন না তারা।

ভারতের ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করার জন্য ইতিমধ্যেই লম্বা লাইন। বহু মানুষ ইংলিশ চ্যানেলের বিপদ অগ্রাহ্য করে ইউরোপীয় মহাদেশে প্রবেশ করছেন ঘুরপথে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। মানুষ নানা দেশে দুঃখ দুর্দশার শিকার। যুদ্ধ, বিদ্বেষের শিকার হয়ে লাখো মানুষ বর্তমানে শরণার্থী।

এই পরিস্থিতিতে ঋষি তাঁর ভারতীয় ভাইদের কথা ভেবে তাদের আশ্রয় দিলেন না— এতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঋষির মতো এমন মানুষ নানা দেশেই ক্ষমতার আসনে বসে আছেন, যারা নিজেকে বিপদমুক্ত রাখতে নিজেদের শিকড়কে অস্বীকার করতে দ্বিধা করেন না।

এক্ষেত্রে ঋষির চেয়ে ট্রাম্প অনেক গুনে ভালো বলে মানতেই হবে। তিনি অন্তত হিউস্টনে মোদির ডাকা অনাবাসি ভারতীয়দের সভায় মোদির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কোভিড ১৯ সংক্রমণে গোটা পৃথিবী আক্রান্ত হওয়ার আগে ট্রাম্প ভারতে এসেছিলেন, আহমেদাবাদে মোদি তার হয়ে গলাও ফাটিয়েছিলেন ‘এক বার ফির ট্রাম্প সরকার'।

ঋষি সুনক ও কমলা হ্যারিস, পুজোপাঠের উদ্দেশ্যে কখনও সখনও ভারতে আসেন। তাই বলে তাদের ভারত-অনুরাগীর তকমা মোটেই দেওয়া যাবে না। আমরা দেখেছি ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। আর তাঁর এই পদক্ষেপের জেরে রীতিমতো হতবাক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে কী এবার ভারত-ব্রিটেন ‘মুক্ত বাণিজ্য’ চুক্তি হওয়ার সব সম্ভাবনাই ধীরে ধীরে বন্ধ হতে চলেছে?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...