এখন সমাজে প্রকৃত ভদ্র নম্র যুবতি এবং তরুণীদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, ব্যাড টাচ প্রভৃতির ঘটনা ঘটে, যার কোনও প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ থাকে না। তবে সাধারণ অপরাধীদের শেষরক্ষা হয় না, পুলিশ ঠিক গ্রেফতার করে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের জেলে কাটাতে হয় বছরের পর বছর। কিন্তু মজার বিষয় হল এই যে, দেশ তথা সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জিতে গোল্ড কিংবা সিলভার মেডেল জিতে আসা মেয়েরাও যখন ছাড় পান না তখন অবাক হতে হয় বৈকি! তাদের উপর শারীরিক অত্যাচার কিংবা শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে তারা ধর্নায় বসেছিল সুবিচারের আশায়। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কিংবা শাসকের মদতপুষ্ট হওয়ার কারণে তাদের কোনও শাস্তি হয় না। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেও তাঁকে দোষমুক্ত করার চেষ্টা চলেছে।

অভিযোগকারিণীরা দু' মাসের বেশি সময় যন্তরমন্তর-এ বসে ধরনাও দেওয়ার পরও তারা কোনও সুবিচার পায়নি। উলটে, রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীরা অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, ওই তরুণীদের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে জোর করে তুলে, জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়, ছবি তোলা হয় এবং তাদের যন্ত্রণাকাতর মুখের ছবি ফোটোশপ-এ এডিট করে হাসিমাখা মুখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। সেইসঙ্গে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় যে, যেন ওরা পুলিশের সঙ্গে পিকনিক করতে যাচ্ছে।

আসলে দেশে রেসলারদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয় না কারণ এরা আসে পিছিয়ে পড়া সমাজ থেকে। আমির খান তাঁর 'দঙ্গল' ছবিতে যা দেখিয়েছিলেন, ওটাই বাস্তব এবং এখনও তাই চলছে। সরকার, রেসলিং ফাউন্ডেশন কিংবা অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থাগুলি যদি নীরব থাকে, অভিযোগকারিণীদের পাশে না দাঁড়ায়, তাহলে খুবই চিন্তার বিষয়। অনেক সময় চলে টাকার খেলা, ভাগ-বাটোয়ারা এবং মেয়েদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা। আসলে কুস্তিকে গরিবদের খেলা ধরে নেওয়া হয়েছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...