মোবাইল ফোন এক বিপ্লবেরই নামান্তর। তথ্য থেকে নিত্যদিনের জীবনশৈলী, সবই এখন মোবাইল নির্ভর৷ কেনাকাটা ছাড়াও নানা পরিষেবার জন্য আমরা মোবাইল ফোন-এর মুখাপেক্ষী— এটাই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সার্থকতা।

কিন্তু একথা ভুললে চলবে না যে সাইবার জালই সবচেয়ে বেশি করে হরণ করছে আপনার গোপনীয়তা। আপনি কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, আপনার ব্যাংক-এ কত অর্থ রয়েছে, আপনি কত টাকা উপার্জন করছেন— বিশ্বাস করুন কিছুই আসলে গোপন নেই এই ডিজিটাইজেশন-এর কল্যাণে।

মহিলাদের জীবনে বাড়তি অশান্তি এনে দিয়েছে এই মোবাইল। পারিবারিক ঝগড়া বিবাদ, সমাজে দেখনদারি, অপমান, লাঞ্ছনা, ব্ল্যাকমেল— সবেরই কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মোবাইল এবং জনসংযোগ। আপনি কী খাচ্ছেন, কতক্ষণ জাগছেন রাতে, কী কথা বলছেন— সবই কোনও কোনও ভাবে নথিবদ্ধ হচ্ছে।

চলছে সাইবার ক্রাইম-এর নানা চক্রান্ত, আপনার মেডিকেল অ্যাপ, ইন্সুরেন্স অ্যাপ, সুইগি, উবর— যে-কোনও কিছু থেকেই আপনার তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে এই ঠগজোচ্চরদের কাছে। তারা নিত্যদিন তৈরি করছে আপনার আর্থিক ক্ষতির ষড়যন্ত্র। দেশের প্রতিটা শহরে বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা। যারা আপনাকে লোনের প্রলোভন দিচ্ছে, তারাই আপনার আত্মীয় বন্ধুদের কনট্যাক্ট জোগাড় করে ফেলছে বৃহত্তর ক্রাইম-এর জাল ছড়ানোর জন্য, যার কারণ অসচেতন ভাবে হয়ে উঠছেন আপনি। কলকাতায় সম্প্রতি এক শিক্ষিকা চাকরি খুইয়েছেন কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রামে সুইমিং সুট পরা কিছু ছবি ছিল যা লিক হয়ে যায়। অর্থাৎ আপনার কোনও কিছুই কোনও মিডিয়াতে আসলে গোপন নয়।

যে-কোনও মানুষের সঙ্গে সচেতন বা অসচেতনতাবশত একটি সেলফি তোলাও আপনার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। আপনার বাড়ির একান্ত গোপন কোনও মুহূর্ত, পারিবারিক ঝগড়া— সবই ভাইরাল হতে মুহূর্ত সময় নেবে না।

আসলে আমাদের হয়তো আবার সেই পুরোনো ফোনেই ফিরে যাওয়া উচিত হবে। ইন্টারনেট নেই বলে দুঃখ পাবেন হয়তো কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চিন বা আমেরিকান সার্ভারে আর বন্দি হয়ে যাবে না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...