এমন একটা সময় ছিল যখন স্টিম ইঞ্জিন দিয়ে কারখানা চালানোর ফলে, লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ হারিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই ডিজিটালাইজেশন-এর ফলে ছোটো ছোটো দোকানদার এবং মেকানিকদের ব্যাবসা এবং কাজ দুই-ই কমেছে। যুগ এগোচ্ছে বলে যতই ঢক্কানিনাদ হোক না কেন, আদতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আরও আর্থিক কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। আখেরে ডিজিটালাইজেশন-এর ফলে লাভবান হচ্ছেন শুধু বড়ো ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে টেলার্স, পেন্টার্স, হরেক মাল বিক্রেতা প্রমুখদের ব্যাবসা প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। আর, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন কিংবা অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম-এর মালিকরা কিছু তৈরি না করেও বিপুল অর্থ উপার্জন করে চলেছেন।

ওলা এবং উবর রাইড কোম্পানি যেমন হলুদ ট্যাক্সি-কে প্রায় উধাও করে দিয়েছে, ঠিক তেমনই অটোচালকদের আয়ও কমেছে। তার পরিবর্তে এখন বাজার দখল করছে বাইক ট্যাক্সি এবং ওলা বাইক কিংবা Rapido বাইক। এর ফলে গাড়ির বিক্রিও কমছে ধীরে ধীরে। সেইসঙ্গে, পুরোনো গাড়ি কিনে, ব্যাবসাও বাড়িয়ে নিচ্ছে ক্যাব কোম্পানিগুলি।

এইরকম বাজার দখলকারি কৌশলী সংস্থাগুলি আইন বদলানোর উদ্যোগও নিয়ে চলেছে। সার্টিফাইড কার ছাড়া কেউ যাতে পুরোনো গাড়ি বিক্রি করতে না পারে, সরকারের কাছে  সেই চাপও ক্রমাগত সৃষ্টি করছে ক্যাব কোম্পানিগুলি। বাজার কিংবা রোড সাইডে গাড়ির পার্কিং-এ যত বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে, শহরের বাইরে প্রাইভেট পার্কিং-এর ব্যাবসাও ততই ফুলে ফেঁপে উঠছে। অল্প জায়গায় একাধিক স্তরে অনেক গাড়ি একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করে ব্যক্তি-মালিকানার ব্যাবসাও বাড়াচ্ছেন উদ্যোগপতিরা। শুধু তাই নয়, পার্কিং এরিয়ার মধ্যেই গাড়ির যন্ত্রাংশ, সারাইয়ের ব্যবস্থা, এমনকী গাড়ির ইন্টিরিয়রের সামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে এখন। আর এইসব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে মোবাইল ফোন-কে মাধ্যম করে। এর ফলে অপরাধ চক্রও নানা ভাবে সুবিধে নিচ্ছে কিংবা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে, টাটা-ওয়ানএমডি কোম্পানিও এক অভিনব ব্যাবসায়িক পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা, অর্থাৎ ফার্মা কোম্পানিগুলির থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে Franchisee-র মাধ্যমে রোগীর বাড়ি বাড়ি ওষুধ পৌঁছে দেবে এই সংস্থা। এর ফলে, আপনার পাড়ার ওষুধের দোকাগুলিও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। কাজ হারাবেন ওষুধের দোকানের কর্মচারিরাও। এও আসলে ডিজিটাল টেকনোলজির কামাল! গ্রাহকরা হয়তো খুশি হবেন সুবিধা পেয়ে কিন্তু কেমিস্টরা ধীরে ধীরে ডেলিভারি বয়-এ পরিণত হবেন আগামী দিনে। আসলে, এই চিন্তার কারণ হল যখনই ডিজিটাল মাধ্যমে বাড়ির দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকে ওষুধ কেনার পরিমাণ বাড়বে, ততই মানুষের কাছে কম দামে তার পছন্দের জিনিস কেনার অপশন থাকবে না এবং এর ফলে কিছু কোম্পানি মোনোপলি ব্যাবসা করতে থাকবে। এও এক প্রকার স্বাধীনতা হরণের নামান্তর।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...