মূল ভারতের বেশিরভাগ গ্রামেই রান্নাবান্না, বাড়ির কাজে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটে মেয়েদের। নিম্নবিত্ত পরিবারে একজন গৃহিনী হিসেবে, গৃহস্থালির সব কাজের দায়িত্ব তার কাঁধে ন্যস্ত হয় কিশোরীবেলা থেকেই। কিন্তু সেই ধারা ভেঙে যখন বেরিয়ে আসে কেউ কেউ, সমাজ তখন অগ্রগতির পথে এক ধাপ এগোল বলে মনে হয়।এমনই ঘটেছিল গত বছর শ্রীজার ক্ষেত্রে।

মায়ের মৃত্যুর পর যদি বাবাও বিমুখ থাকে, তাহলে সন্তানের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ যে খারাপ হবে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু মা-বাবা ছাড়া মামার বাড়িতে থেকে, বিহারের শ্রীজা দশম শ্রেণীতে ৯৯.৪% নম্বর পেয়ে চমকে দিয়েছে সবাইকে। এ এক মস্ত চ্যালেঞ্জ ছিল তার কাছে।

শ্রীজার যখন চার বছর বয়স, তখন তার মা মারা যান এবং ওর বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নেন। শ্রীজা এবং ওর ছোটো বোন তখন অসহায়ের মতো দাদু-দিদার কাছে চলে যায়। ওদের বাবা কোনও খেয়ালই রাখতেন না কন্যাদের।মামার বাড়ি পাঠিয়ে প্রায় দায়মুক্ত হয়ে যান যেন। কিন্তু শ্রীজা প্রতিকূলতা কাটিয়ে লেখপড়ায় মন দেয়।

একটা সময় ছিল যখন সৎ মায়ের কাছে খুব অবহেলায় বড়ো হতো অনেক বাচ্চা। তখন যেমন একাধিক বিয়ের রীতি ছিল, ঠিক তেমনই সন্তানের সংখ্যাও বেশি ছিল। কিন্তু এখন তো প্রত্যেকেরই সন্তান এক কিংবা দুই। তাই বাচ্চারা অ্যাটেনশনও চায় অনেক বেশি। আর মা-বাবার সঙ্গে ছেলেমেয়ের এই ভালোবাসার বন্ধন দেখে, অনাথ বা পারিবারিক ভাবে অবহেলিত সন্তানেরা আরও কষ্ট পায় এখন। শ্রীজা এবং ওর বোনের ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটাই হয়েছিল।

এখন বাচ্চাদের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। বড়োদের ব্যবহৃত পোশাক এখন আর ছোটোরা পরে না। মোবাইল, ল্যাপটপ, পেটিএম, হ্যাং আউট, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি শব্দের সঙ্গে পরিচিত এখনকার ছেলেমেয়েরা। কিন্তু শ্রীজা-র মতো যারা মা-বাবা ছাড়া মানুষ হয়, বর্তমান সময়ে তাদের কষ্ট সহজেই অনুমেয়। তবে শ্রীজা কিছুটা ভাগ্যবতী ছিল এই কারণে যে, ওর মামা ওকে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...