এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জামিন পেয়েই নির্যাতিতা তরুণীর বাবাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে।
ভারতের আইনি ব্যবস্থা এখন উদ্বেগের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া রিযা চক্রবর্তীকে যেভাবে একমাস জেলে আটকে রাখা হয়েছিন, যেভাবে হাথরাসে ধর্ষিতা ও মৃতার বাড়ির লোককে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং উদ্বেগের বিষয়।মানুষের স্মৃতিতে এখনও আছে কীভাবে হাথরাসে ধর্ষিতার বাড়ির লোকেদের উপর চরম মানসিক অত্যাচার করা হয়েছিল। নাগরিকতা সংশোধনী আইনের সমালোচনা করার জন্য সফুরাকেও কীভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, এই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে, বিনা দোষে মেয়েদর জেলবন্দি করে, অমানবিক শাসন চালাচ্ছে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট পুলিশ।অথচ মূল অপরীধী ছাড় পেয়েই নতুন করে প্রতিশোধ স্পৃহা মেটাতে নতুন অপরাধ করছে৷
এদিকে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল রাজনৈতিক মদতে পুলিশ যখন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই অনেক সময় মেয়েদের জেলবন্দি করছে, তখন সর্বোচ্চ আদালতও নীরব থাকছে কিংবা তাল মিলিয়ে চলছে!
এটা খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি। কিছুদিন জেলবন্দি থাকার পর, ওই মেয়েদের ভবিষ্যত্ আরও খারাপ হতে পারে। সরকারি নীতি-নির্ধারণের সমালোচনা করা যেখানে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেখানে সরকার বলপূর্বক সেই অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে! আর বিনা দোষে শাস্তি পাওযা মেয়েদের দেখে অন্যরাও ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রাখছেন। এই ভয় মেয়েদের আরও গভীর সমস্যায় ফেলছে। তারা বাড়িতে অন্যায় অত্যাচারের শিকার হলেও প্রতিবাদের ভাষা হারাচ্ছে। এ এক ভযংকর সংকট।
একটা সময় ছিল যখন সত্যিই কোনও বড়ো অপরাধ না করলে মেয়েদর জেলবন্দি করে রাখতে পুলিশ পিছিয়ে যেত মানবিকতার খাতিরে। কিন্তু এখন যেন পুলিশ একেবারে হৃদয়হীন হয়ে পড়ছে রাজনৈতিক মদতে। এমনকী বৃদ্ধ কিংবা গর্ভবতী মহিলাকে অপরাধের প্রমাণ ছাড়াই জেলবন্দি করতে ছাড়ছে না পুলিশ। এখন পুলিশ যেন ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সরকারি ছাড়পত্র পেয়ে গেছে!