নিয়ম শৃঙ্খলা বলবৎ করে সরকার চালানো মোটেই সহজসাধ্য নয়। এটা কোনও মন্ত্রবলেই সম্ভব নয় যে একবারে রাতারাতি সব অপরাধ বন্ধ হয়ে যাবে, কিংবা অপরাধের উপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি করে ফেলা যাবে। এত বড়ো দেশ আমাদের। সেখানে প্রতিটি জিনিসের প্রতি শ্যেন দৃষ্টি রাখলেও, সবসময় সফল ভাবে পরিচালনা করা যায় না প্রশাসনিক কাজকর্ম।

সরকার সঠিক ভাবে পরিচালনা তখনই করা যাবে যখন অলস সরকারি কর্মচারী, আইন কানুন ও আদালতের গাফিলতির বিষয়গুলি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হবে। যে-কোনও দিন কাগজ খুলুন, ভুরি ভুরি ধর্ষণের মামলার খবর নজরে পড়বে। এগুলি সেই মামলা যাতে কিনা শুধু মহিলাদের উপরেই নয়, কিশোরী ও শিশুকন্যাদের উপর হয়েছে অমানুষিক অত্যাচার। এগুলি সেই মামলা যেখানে অন্যায়ের শিকার হওয়া মেয়েটি কিংবা তার পরিবার, সমাজ সংসারের পরোয়া না করে অন্যায়ের ঘটনাটি পুলিশের খাতায় নথিবদ্ধ করেছিল।

সাধারণ মানুষ এখন জেনে গেছে খোদ আদালতও ন্যায়ের পক্ষে রায় দেয় না। উপর থেকে নীচের মহল অবধি যেখানে টাকা কথা বলে, সেখানে কোন ন্যায়ের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হবে মানুষ! মহিলারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হন দেশের এই কানুনি ব্যবস্থায়। একদিকে তারা যেমন তাদের উপর ঘটে যাওয়া অন্যায় সহ্য করতে বাধ্য হন, অন্যদিকে বাড়ির কোনও পুরুষকে যদি মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় তাহলে তো আদালতে ধর্না দিয়েই তার অর্ধেক জীবন কেটে যায়।

প্রতিদিন কাগজে যদি এত ধর্ষণ, রাহাজানি, খুন, কেপমারি প্রভতি অপরাধের খবর বেরোয়, তাহলে বুঝতে হবে সেই মামলাগুলোরও শুনানির তারিখ পড়ে। তাহলে সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়ে রায় দিতে দিতে এত বিলম্ব কেন হয়? তার মানে এটাই বুঝতে হবে প্রভাবশালী আর অর্থবানদের অসাধু কার্যকলাপের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় কোর্ট। যার কাছে অর্থ ও ক্ষমতার জোর, সে-ই আদালতের উপর প্রভাব খাটিয়ে মামলা-মোকদ্দমাকে প্রভাবিত করে।

আজও গ্রামেগঞ্জে মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো বা তাদের উপর হওয়া নির্যাতন রুখে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। নারী স্বশক্তিকরণ বা নারি অধিকারের স্বপক্ষে গালভরা কিছু কথা আলোচনা হয় বটে বিভিন্ন সভা-সমিতিতে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়োগ ঘটতে বড়ো একটা দেখা যায় না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...