ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স-এর শিকার হওয়া বা সাংসারিক অশান্তির জেরে বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল, তারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ার কারণে, কোথাও তাদের আশ্রয় জোটে না। সারা দেশে এই সমস্ত মহিলাদের কথা ভেবেই শেল্টার হোম তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়েও যে এই দুর্দশাগ্রস্ত মহিলাদের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়, তেমনটা বলা যায় না। খুব স্বাভাবিক যে, এই নিরাশ্রয় মহিলারা এমন পরিবার থেকে আসেন যেখানে কোনও সভ্যতা, শিক্ষা বা সামাজিক দায়বদ্ধতার বাতাবরণ থাকে না। কোনও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও আশ্রয় তাদের জোটে না৷ সেই কারণেই শেল্টার হোমে আশ্রিতা হতে হয় তাদের।

জুভেনাইল ক্রাইমের অন্তর্গত কিশোরীদেরও আশ্রয় মেলে এই সব শেল্টার হোমে। এই পরিবেশ তাদের ক্ষেত্রে জেল এর চেয়ে কোনও অংশে উন্নত নয়। ঘর থেকে পালিয়েই হোক বা কোনও অপরাধের শিকার হয়েই হোক, যে-আশ্রয়ে ছিন্নমূল হয়ে এসে পড়ে এই মেয়েগুলি, সেই জায়গাটিও তাদের পক্ষে কম বিপজ্জনক নয়। এখানে সহানুভূতির দুটি শব্দ বলার মতো কোনও ভল্যান্টিয়ার পর্যন্ত নেই। বরং এই শেল্টার হোমের তত্ত্বাবধানে যারা থাকে, তারাও চায় যত সম্ভব তাড়াতাড়ি মেয়েটির দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি পেতে।

দক্ষিণ দিল্লির একটি প্রাইভেট শেল্টার হোমের মেয়েরা পুলিশের কাছে তাদের দুর্দশার কথা জানানোর পর, মহশোলি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে সম্প্রতি। এই ধরনের মামলা সহজে নিষ্পত্তি হয় না। এর কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েগুলি ভয়ে মুখ খোলে না। কেউ কেউ গোপনে দেহব্যাবসায় লিপ্ত হতে বাধ্য হয়।

আজকাল কিছু এনজিও এই ধরনের শেল্টার হোম চালায়। কিন্তু এই ধরনের প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো অর্থের জোগান সবসময় তাদের হাতে থাকে না। অর্থের উপার্জন করার জন্য এই দুর্দশাগ্রস্ত মেয়েদের গাইড করারও কেউ থাকে না। কেউ কেউ শেল্টার হোমকেই বিনাশ্রমে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত মনে করে।

এই পরিস্থিতি সামলাতে এখন সত্যিকারের সৎ কিছু প্রতিষ্ঠান ও ভল্যান্টিয়ার প্রয়োজন, যারা এই মেয়েদের আত্মনির্ভরতায় সাহায্য করবে। এই কাজে ভল্যান্টিয়াররা হয়তো নাম বা খ্যাতি পাবেন না কিন্তু প্রকৃত সেবার কাজ হবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...