যে-কোনও দু'জন মানুষ (দম্পতি) একসঙ্গে থাকতে চায় নাকি বিবাহবিচ্ছেদ চায়, সেটা শুধু ওই দুজনেরই সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত, কারণ তাদের জন্য কী সঠিক তা কেবল তারাই বুঝতে পারে। অথচ সেটা কি সমাজ বা আইন কেউ মেনে নেয় ?
বিবাদের মামলা
২০০৬ সালের অক্টোবরে গার্হস্থ্য হিংসা আইন কার্যকর হওয়ার পরে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কেসের বিচার ৪৯৮ ধারায় ফেলা হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতের আওতায় লক্ষাধিক বিরোধপূর্ণ মামলা দায়ের করা হয়।
এত কিছু সত্ত্বেও, এমন একটি আইনি ব্যবস্থা রয়েছে যা ভারতে Divorce পাওয়া এখনও সহজ করে তুলতে পারেনি কারণ দেশের আইনে আদালত কর্তৃক যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না। তাই বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে শুনানির তারিখগুলি দীর্ঘ বিরতিতে দেওয়া হয়। উভয়পক্ষের পক্ষ থেকে আদালতের অনেক রাউন্ড শুনানি চলে যাতে এর মধ্যে দম্পতিদের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে। তবে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা কেবল মাঝেমধ্যেই ঘটে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না। ভালোবাসা ও সম্প্রীতি একবার ভাঙলে সংযোগ স্থাপন মুশকিল হয়ে পড়ে। এমনকি চাপ ও বাধ্যবাধকতার জন্য স্বামী-স্ত্রী যুক্ত হলেও উভয়পক্ষের জীবন বিপরীত মেরুতে পরিণত হয় এবং বাধ্যতামূলক জীবনযাপন করতে তারা বাধ্য হয়। আদালত এখন বিষয়টি বুঝতে শুরু করেছে। অতএব, তারা তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে আগের মতো সময় নেয় না। সাধারণত, যখন বিবাহবিচ্ছেদের সাথে অন্যান্য বিষয় যেমন ভরণপোষণ, সন্তানদের হেফাজত, উত্তরাধিকার এবং সম্পত্তি বণ্টন হয়, তখন আদালত রায় প্রদানে দীর্ঘ সময় নেয়। কোনও নারী যদি তার আবেদনে স্বামীর নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে নির্যাতনের প্রমাণ দিতে সময় লাগে।
কিন্তু স্বামী-স্ত্রী যদি শীঘ্রই ডিভোর্স চান, এবং স্বামী-স্ত্রী যদি পারস্পরিক সম্মতিতে একসঙ্গে পিটিশন দাখিল করেন, তাহলে দ্রুত তাদের তালাক হয়ে যায় কারণ নিজেদের মধ্যে সমঝোতার কারণে তাদের অধিকাংশ বিরোধ ইতিপূর্বে আদালতে যাওয়ার আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়।