সিনেমার তারকাদের বিবাহবিচ্ছেদ খুবই সাধারণ বিষয় ধরে নেওয়া হয়। আর বলা হয় যে, বিনোদন জগতে ইগো, আবেগপ্রবণতা এবং খুল্লামখুল্লা শারীরিক সম্পর্কের কারণেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে সহজেই।

বাস্তব অবশ্য অন্য কথা বলে। আসলে সিনেমার অভিনেত্রীরা কেউ কেউ বিয়ের আগে ব্যাভিচারী জীবনযাপন করলেও, বিয়ের পর স্বামীকে শাসনে রাখতে চান, ফলে তৈরি হয় সংঘাত। কিন্তু সাধারণ ঘরের মেয়েদের মানসিক, শারীরিক এবং আর্থিক ভাবে একটি গণ্ডির মধ্যে রাখা হয়। সমাজ তাদের পুতুলের মতো মনে করে। রোদ, বৃষ্টি এবং কুনজর থেকে বাঁচিয়ে রাখে প্রথমে, তারপর বিয়ে দিয়ে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, সন্তান আর রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত রাখতে চায়। এর ফলে, সাধারণ মহিলারা প্রতিবাদ কিংবা নিজের ইচ্ছেপূরণ করার আর সাহস দেখাতে পারেন না। আসলে তারা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দাসত্ব করতে শুরু করে দেন। বিছানায় সঙ্গ দেওয়ার সময়ও একই অনুভূতি হয় তাদের। যেন তারা সেবাদাসী! সার্থক জীবনসঙ্গী নন।

আমাদের ধর্মগ্রন্থেও নারীর প্রতি নানা আদেশ, উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে। রামায়ণের উল্লেখ করে বলা হয়, সীতার মা সুনয়না সীতাকে উপদেশ দিয়েছেন যে, চুল বাঁধা থাকলে ভাগ্যবতী হয়। আর চুল খোলা রাখবে একমাত্র স্বামীর সামনে থাকলে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে চুল খুলে রাখা পাপের শামিল। অর্থাৎ, এমন অর্থ বোঝানো হয় যে, নারী তার খাওয়া, পরা, ওঠা-বসা, শোওয়া সবই স্বামীর ইচ্ছেমাফিক করবে এবং স্বামী যদি বকাঝকা কিংবা মারধরও করেন, তা সত্ত্বেও স্বামীর পদসেবা করেই দিনযাপন করতে হবে।

হলিউড, বলিউড কিংবা টলিউডের অভিনেত্রীরা সাধারণ মহিলাদের ঠিক উলটো সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে স্বামীরা থাকেন তাঁদেরই অধীনে। যে-সব তারকা অভিনেত্রীদের বিয়ে সফল হয়েছে, তার মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীরা তাঁদের অভিনেত্রী স্ত্রীর কাছে দাসত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন। অথচ সাধারণ মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বামীরাই তাদের শরীর, মন সবকিছুরই মালিক হয়ে থাকেন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...