মাঝরাতে ঘুম ভাঙতেই বিপ্লবের মনে পড়ল আজকের রাতটাই শেষ, তারপর থেকে পুরো একা। আচ্ছা পুরোপুরি একার জীবনটা ঠিক কেমন কাটবে? আদৌ কি কাটাতে পারবে ও? কথাটা ভাবতেই হাসি পেল। স্রেফ বোকা বোকা ভাবনা। পারলেও কাটাতে হবে, না পারলেও। আচ্ছা ঈশানীও কি একই কথা ভাবছে এখন? নাকি ঘুমোচ্ছে? ইচ্ছে থাকলেও জানার উপায় নেই। যদিও ঈশানী আর বিপ্লবের মধ্যে দূরত্ব মাত্র একটা দেয়ালের। কিন্তু সেই দেয়াল যতটা না দৃশ্যত তার থেকে অনেক বেশি অদৃশ্য।

বিপ্লব আর ঈশানীর আজ একসঙ্গে থাকার শেষ রাত। অবশ্য একসঙ্গে থাকা শব্দটা না বলে বরং এক ছাদের নীচে থাকার শেষ রাত্তির বলাই ভালো। কারণ একসঙ্গে থাকার রাত্তিরগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রায় মাস চারেক আগে। কিংবা আরও একটু আগে থেকেই। সেই যবে থেকে অশান্তি শুরু হয়েছিল। সেইসব দিনগুলো ঝগড়া, অশান্তি, কান্নার সন্ধে, রাতগুলো...। উফফফ...!

কথাটা মনে হতেই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল বিপ্লব। শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে না। জানলার কাছে এসে দাঁড়াল। এখন মার্চ মাসের শুরু। ভরা বসন্তকাল। শেষ রাতের দিকে শীত এসে জানলার পাশে দাঁড়ায়। এখনও সে কিছুটা রয়ে গেছে সেই খবর দিতে। কাচের শার্সির ওপারে ঘন অন্ধকার আর শিরশিরে ঠান্ডা দাঁড়িয়ে। বিপ্লবের ইচ্ছে হল কাচের জানলাটা খুলে সেই অন্ধকার আর শীতলতা গায়ে মাখতে। খুলতে গিয়েও খুলল না।

থাক। অনেকদিন আগে, অনেক অনেক দিন আগে- এমনই একটা ঘন মাঝরাতে আদর শেষ করে আদিম ভাবে ও আর ঈশানী এসে দাঁড়িয়েছিল এই জানলাটার সামনে। এমন অন্ধকার ছিল বাইরেটা। ঈশানী কাচের জানলা খুলে দিতেই ঠান্ডা নরম হাওয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে জড়িয়ে ধরেছিল ওদের দুজনকে। তারপর প্রায় ভোররাত পর্যন্ত দুজন দুজনকে ওইভাবে জড়িয়ে থেকে পরস্পরের শরীরের ওম নিয়েছিল। মনে হয় যেন গত জন্মের কথা...। একটা জীবনের মধ্যেই মানুষের কতগুলো জন্ম যে লুকিয়ে থাকে...

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...