জিনিসপত্র নামিয়ে পরিষ্কার করতে করতে হঠাৎই শ্রেয়ার চোখ পড়ল অবহেলায় পড়ে থাকা ছোট্ট আংটির কৗটোটার উপর। ও জানে এতেই বিপুলের দেওয়া হিরের আংটিটা রয়েছে যেটা বিয়ের রাতে যত্ন করে শ্রেয়ার আঙুলে পরিয়ে দিয়েছিল বিপুল। পুরোটাই আজ দুঃস্বপ্ন মনে হয় শ্রেয়ার। কবে থেকে চেষ্টা করছে এটাকে মন থেকে মুছে ফেলতে কিন্তু পারছে কই? মনের গভীরে আজও বিপুল নামের কাঁটাটা কোথাও যেন খচখচ করে বাধে। একসময় যাকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে শ্রেয়া ভালোবেসেছিল আজ সে-ই তার সবথেকে বড়ো দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কী করে ভুলবে শ্রেয়া নিজের সাতাশতম জন্মদিনের আগের দিনের সন্ধেটাকে, যেদিন বিপুলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের বোনকেও সারাজীবনের মতো হারিয়ে ফেলেছিল ও।

সেই বোন যাকে কিনা মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিল শ্রেয়া, যার জন্য সারা পৃথিবীর সঙ্গে লড়ে যাওয়ার সাহস রাখত সেই-ই কিনা বিপুলকে ওর কাছ থেকে কেড়ে নিল। বিপুলের কাছেও শ্রেয়া কতবার স্বীকার করেছে যে পরমা শুধু ওর বোন নয়, সন্তানও বটে। প্রচণ্ড ভালোবাসত ওকে, ওর কষ্ট শ্রেয়া সহ্য করতে পারত না। একবারও তো ওর মনে হয়নি সেই বোনকেই মাধ্যম করে বিপুল ওকে এমন কষ্টের মুখে এনে দাঁড় করিয়ে দেবে যে, জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই অকারণ হয়ে দাঁড়াবে শ্রেয়ার জন্য।

মনটা অদ্ভুত এক বিতৃষ্ণায় ভরে ওঠে। প্রতিবার এমনটাই হয়। বিপুল আর পরমার কথা মনে হতেই পুরোনো স্মৃতি তাজা হয়ে ওঠে। ‘শ্রেয়া... শ্রেয়া... কী হল তোমার?’ পিছন থেকে সৌম্যর ডাকে ঘোর কাটে শ্রেয়ার। সম্বিতে ফিরে আসে ও। বর্তমানে এসে দাঁড়ায়, যেখানে ওর স্বামী সৌম্য আর ছেলে বুবাই অস্থির হয়ে ওর অপেক্ষা করছে।

‘শ্রেয়া, তুমি বোধহয় ভুলে গেছ আমাদের অর্ঘ্যর ওখানে যাওয়ার কথা’, সৌম্য মনে করায়।

‘অ্যারে, হ্যাঁ আমি ভুলেই গিয়েছিলাম। দশ মিনিট দাও, আমি চট্ করে তৈরি হয়ে নিচ্ছি’, বলে শ্রেয়া সবকিছু ছেড়ে বাথরুমের দিকে পা বাড়ায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...