তিরিশ বছর পর সেই সেন্টেনারি বিল্ডিংয়ে সিঁড়িতেই বসে পড়লাম আমি। রাই আজই এই কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে প্রথম ক্লাসে এল। আমি বাংলা পড়েছি বলে নয়, রাই ওর নিজের পছন্দেই বাংলা পড়ছে। আমি একপ্রকার জোর করেই ওর সঙ্গী হয়েছি। বলেছি, চল না, তোকে ইউনিভার্সিটির গেটে এগিয়ে দিয়ে আমি অফিস যাব ’খন। আমার আজ অত তাড়া নেই। রাই বলেছে, তুমি চাপ নিচ্ছ কেন আমি কি কচি খুকি নাকি?

আসলে আমি এসেছি এক অমোঘ টানে। তিরিশ বছর আগে আমিও যে বাংলা পড়তে এসেছিলাম এখানে। এই আশুতোষ বিল্ডিংয়ে আমাদের ক্লাস ছিল। সবই প্রায় একইরকম আছে। শুধু শাড়িতে সজ্জিত দীপারা হারিয়ে গেছে। এ যুগের দীপারা স্কিন টাইট জিন্সে আর টাইট টপে, লেগিংস আর কুর্তিতে বেশি স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল। ওদের ভিড়ে সালোয়ারে শোভিত দীপাও আছে কয়েকজন। আমার মেয়ে রাই-ও তাদের দলে।

রাইকে আমার ছাত্রাবস্থার সব গল্পই বলেছি। তবে দীপার কথা রাই জানে না। রাইয়ের মা কেয়াকেও বলিনি। বলব কী? সে বড়ো ব্যথার অধ্যায়। আমার জীবনের সেই করুণ কাহিনি শুনিয়ে মেয়ের করুণা কুড়োতে চাইনি আমি।

বললে কেয়া, দীপার কথা তুলে উঠতে বসতে খোঁচা দিতে ছাড়ত না। সে আমার বুকের অতলে ঘুমিয়ে থাকা গভীর গোপন ইতিবৃত্ত। সত্যি বলতে কী, তিরিশ বছর আগের এই বাংলা ডিপার্টমেন্টের সেই অপরূপা দীপাই আজ আমাকে এখানে টেনে এনে বসিয়ে দিল। রাই হাত নেড়ে আশুতোষ বিল্ডিংয়ে ঢুকে উঠে গেল। আর আমি এক মর্মান্তিক স্মৃতির ভারে বসে পড়লাম সেন্টেনারি বিল্ডিংয়ের সিঁড়িতে।

দুই হাঁটুতে দুই কনুই ঠেকিয়ে দুই হাতের বেষ্টনিতে মাথা নত করে কপালের ভার ছেড়ে দিয়ে চোখ বুজলাম। কী আশ্চর্য! চোখ বুজতেই আমার চোখের সামনে স্পষ্ট দৃশ্যমান হল তিরিশ বছর আগের এক রোববারের দুপুর। সেই আউট্রাম ঘাটে। একেবারে চলচ্চিত্রের মতো ঘটনা পরম্পরা! আমার হৃৎপিণ্ড কাঁপিয়ে দিয়ে দীপা বলল, চল নৌকো চড়ি। দীপা উঠে দাঁড়িয়ে শাড়ির পাটে খানিক আঙুল চালিয়ে নিয়ে ফের বলল, নে ওঠ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...