আপনার কষ্ট হচ্ছে না?
তা হচ্ছে বৈকি। মুখে ওর নামে এসব বলছি বটে কিন্তু একদিন ওকে তো ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু যেদিন আবিষ্কার করলাম, আমার ভালোবাসাটা একতরফা-- সেদিন সত্যি সত্যি মনটা ভেঙে গিয়েছিল। দেবলীনার মতো মেযেরা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসে না। খুব স্বার্থপর।
আপনি বলছেন দেবলীনা ভাবত আপনি ওর কেরিয়ারের পথে বাধা ছিলেন, ঠিক তেমনি দেবলীনাও আপনার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াননি তো অভীকবাবু?
অভীক পাত্রের গলার স্বর হঠাৎ রুক্ষ হয়ে উঠল, ঠিক বুঝলাম না একটু পরিষ্কার করে বলুন। বানিয়ে বুনিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করবেন না।
রক্তিম হেসে বলল, বিরুদ্ধ কথা বললেই রাগ দেখানোটা ঠিক নয় অভীকবাবু। আমি কিন্তু ক্যালকুলেশন করেই কথাটা বলেছি। শুনেই দেখুন, মনে হয় তারপরে অতটা ফ্যালনা মনে হবে না। চোখ দুটো সরু করে তাকালেন অভীক পাত্র।
রক্তিম বলল, আপনি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ভালো পোস্টে চাকরি করেন। ভালো মাইনে পান। আপনার পিএ নীলম মাথুর সুন্দরী ও স্মার্ট। তার সাথে আপনার একটা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে আমি জানি। আপনি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তাই যদি হয় তাহলে দেবলীনাকে আপনার পথের কাঁটা বলাটা কি খুব অন্যায় হবে?
তেড়েফুঁড়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন অভীক। রক্তিম হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে বলল, দাঁড়ান দাঁড়ান আরও আছে। আগে আমারটা শেষ হোক তারপর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ আপনাকেও দেব বৈকি। একটু আগে আপনি একটা ডাহা মিথ্যে কথা বলেছেন বুঝতে পারছেন তো?
কী মিথ্যে কথা বলেছি? আমি কোনও মিথ্যে কথা বলিনি।
বলেননি? বেশ আমি তবে মনে করিয়ে দিচ্ছি। আপনি বলেছেন আপনি মুকেশ কুমারকে চেনেন না। আমি যদি বলি আপনি তাকে খুব ভালো করেই চেনেন, অস্বীকার করতে পারবেন? হ্যাঁ বা না সরাসরি জবাব দিন।
ঢোক গিললেন অভীক পাত্র, না... মানে হ্যাঁ।
তোতলাচ্ছেন কেন? ভাষা হারিয়ে গেল? দেখুন মিঃ পাত্র গোয়েন্দাগিরি অত সোজা কাজ নয়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই। মুকেশ কুমারের সঙ্গে আপনার কিছু ছবি পুলিশ পেয়েছে যাতে প্রমাণিত হয়...