বিকাশের কথাতে জোরে মাথা নাড়িয়ে সায় দিলেন আইসি দেব, এগজ্যাক্টলি... আমিও ঠিক এই অ্যাঙ্গেলটাই ধরতে চেয়েছি। তুমি ওই কেসের পুরো ডিটেলসটা জোগাড় করো। তবে শান্তার কল রেকর্ডের ব্যাপারে আগেই কিছু বলতে যেও না। ওটা সিক্রেট ইস্যু। খুব প্রয়োজন ছাড়া ফাঁস করা যাবে না। খুনি অ্যালার্ট হয়ে যাবে।

আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন স্যার।

এবার সাহাবাবুর দিকে তাকিয়ে আইসি দেব বললেন, দেবদূতের ব্যাপারে কিছু ইনফর্মেশন পাওয়া গেল সাহাবাবু?

উত্তম সাহা বললেন, তেমন ব্রেকিং নিউজ কিছু নেই স্যার। ছেলেটা নেহাতই সাদামাটা। শরীর চর্চা আর দোকানদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একটা নন বেঙ্গলি মেয়ের প্রেমে পড়েছে। এই নিয়ে বাড়িতে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হয়। তবে একটা ব্যাপারে একটু খটকা আছে...

কী ব্যাপারে?

দেবদূত মাঝে মাঝে হাওড়ার একটা নিষিদ্ধ পল্লিতে যায়। ওখানে মুকেশ কুমার নামে একজনের সাথে খুব দোস্তি। মুকেশ কুমার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে ছেলেটা খতরনাক গুন্ডা। খুন, জখম, রাহাজানি, ধর্ষণ, সুপারি কিলিং... এসবই ওর পেশা। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন জাগে, ওই রকম একটা ছেলের সাথে দেবদূতের কী সম্পর্ক থাকতে পারে? কিন্তু এবিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য এখনও পাইনি।

লেগে থাকুন। আপাত দৃষ্টিতে তুচ্ছ মনে হলেও কোনও বিষয়কেই নেগলেক্ট করা যাবে না। কোথায় যে এই রহস্যের টিকি বাঁধা আছে আমরা কেউ জানি না। সুমিত সেন সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন?

যেটুকু পেয়েছি বলছি। ওর আদি বাড়ি কৃষ্ণনগর। বনেদি পরিবার। বাবা কাকারা সব একসাথেই থাকেন, যৌথ পরিবার। অনেক রকমের ব্যাবসা আছে। সুমিত সেন পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর দুবছর বিদেশে চাকরি করেন। তারপর চলে আসেন কলকাতায়। পড়ার সময়ে শান্তার সাথে প্রেম। বিদেশ থেকে ফিরেই বিয়ে করেন দুজনে। আগে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। রিসেন্টলি ফ্ল্যাট নিয়েছেন বালিগঞ্জে। বন্ধু-বান্ধব মহলে ভালো ছেলে বলেই পরিচিত। পরকিয়ার গল্পটা সম্পূর্ণ বানানো, এমনই তার মত। শান্তা মার্ডারের সাথে সুমিতের কোনও প্রত্যক্ষ যোগ নেই বলেই মনে হচ্ছে স্যার।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...