‘তোদের ধারণা, খুনটা তা হলে তারক করেনি।’ প্রশ্নটা করল কালকেতু।জয়ন্তনারায়ণ বলল, ‘পুরোনো কেস হিস্ট্রি ঘেঁটে তো আমারও তাই মনে হল। ওর মুখ থেকে পুরো ঘটনাটা শুনলে, তোরও তাই মনে হবে।’সমর্থন করল রাহুল, ‘বেচারি সাড়ে চার বছর ধরে জেলে। মাঝে মাঝে আমার এই অফিসে ডাস্টিংয়ের কাজ করতে আসে। তখন কথা বলে দেখেছি, অত্যন্ত নিরীহ টাইপের। দশ বছরের চাকরিতে ভাই প্রচুর ক্রিমিনাল দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তারক খুন করতে পারে না। কেসটা তুই নিবি কালকেতু? দ্যাখ না, ওকে বাঁচাতে পারিস কি না?’

জয়ন্তনারায়ণ বলল, ‘আলিপুরের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে যে ল’ইয়ার তারকের হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সে আমার খুব পরিচিত। কেস রিলেটেড কাগজপত্তর যা ওর কাছে আছে, সেগুলো আমাকে দেবে বলেছে। ওর মুখে যা শুনেছি, তাতে আমার মনে হয়, তুই ইনভেস্টিগেট করলে, তারককে বের করে আনা যাবে।’রাহুল বলল, ‘আমাদের এই জেলে আগে যিনি ওয়েলফেয়ার অফিসার ছিলেন, তারকের কেসটা তিনি লিগ্যাল এইড-এর কাছে রেফার করেছিলেন। হাইকোর্টে আপিলও করা হয়েছিল। কিন্তু যা হয়, চার বছর ধরে ধামাচাপা পড়ে আছে। একটু খোঁচাখুঁচি করা দরকার।’

কালকেতু বলল, ‘তারকের সঙ্গে কি একবার কথা বলা যাবে?’‘সার্টেনলি। ওকে ডেকে পাঠিয়েছি। এই এল বলে। ততক্ষণে চা খেয়ে নে।’দমদম সেন্ট্রাল জেল সুপারের অফিস ঘর। বসে কথা বলছে ওরা তিনজন। রাহুলের সঙ্গে কালকেতুর অনেক দিনের বন্ধুত্ব। একটা সময় ওরা একই স্কুলে পড়ত। কালকেতু এখন বহুল প্রচারিত একটা খবরের কাগজের সাংবাদিক। সুযোগ পেলে সেইসঙ্গে গোয়েন্দাগিরিও করে। আর কারেকশনাল সার্ভিসেসে চাকরি নিয়ে রাহুল এখন দমদম সেন্ট্রাল জেলের সুপার। আসানসোল থেকে বদলি হয়ে এখানে এসেছে।

জয়ন্তনারায়ণ কলকাতা হাইকোর্টের ল’ইয়ার। ও লিগ্যাল এইড-এর সঙ্গেও যুক্ত, বিনা পয়সায় যারা আইনি পরামর্শ দেয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে যারা সুবিচার পায়নি, জয়ন্তনারায়ণরা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। খবরের কাগজে প্রায়ই ওর নাম বেরোয়। টিভিতে ওকে দেখা যায়। আর সেইসূত্রেই কালকেতুর সঙ্গে ওর আলাপ। সমবয়সি বলে ওদের দু’জনের মধ্যেও বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। কোর্টে আইনি লড়াই করতে নামার আগে জয়ন্তনারায়ণ মাঝে মাঝেই কালকেতুর সাহায্য নেয়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...