অন্ধকারের মধ্যে দ্রুত গতিতে পিছিয়ে যাচ্ছে কিছু আলো। গ্রাম অথবা শহরের। এছাড়া দেখার মতো কিছু নেই। ট্রেনটার ডিপারচারই ছিল হাওড়া থেকে রাত আটটায়। কিছু দেখা যাবে না, জেনেও জানলার পাশের সিটটা দখল নিয়েছে ইমন। বাকি তিনবন্ধু ওকে আটকায়নি। কোনও এক আশ্চর্য কারণে ওরা ইমনকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজটুকু দেয়। অন্তত হাওয়া খাওয়ার লোভে ওদের কেউ একজন ইমনকে জানলার সিটে বসতে বাধা দিতে পারত, দেওয়ার কথা ভাবেইনি। চারজনের মধ্যে ইমনের অধিকার যেন সবচেয়ে আগে। যদিও শুধু হাওয়ার কারণে ইমন এখানে বসেনি, হাওয়ার চরিত্র বুঝতে বসেছে। সে জানত এই টুরে হাওয়ার ধরনটা আলাদা হবে।

তাই হয়েছে, অন্য টুরের তুলনায় হাওয়ার ওজন প্রায় অর্ধেক। বাইরের অন্ধকারটাও তত নিরেট নয়, গাছপালা, পুকুর ঘাট, খেত-জমি, কুঁড়েঘর, পাকাবাড়ি সবই দিব্যি আন্দাজ করা যাচ্ছে। এমনকী মনোনিবেশ একটু গভীর করলেই কুঁড়েঘরে দুলে দুলে পড়া মুখস্থ করা কিশোরীটিকেও যেন পাচ্ছে দেখতে। ফ্ল্যাটবাড়ির ইন্টারনেটে বুঁদ তরুণও নজর এড়াতে পারছে না। এসব দেখার চোখ বা আগ্রহ কোনওটাই নেই ইমনের তিনবন্ধুর, পার্থ, জয়দীপ, কৌশিকের। না থাকাটা অপরাধের নয় মোটেই। ওদেরও যে যার মতো নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তবে চারবন্ধুর বন্ধুত্ব কিন্তু খুব নিবিড়।

কলেজে এই চারজন একটা কোর গ্রুপ। এরা কেউই একে অপরের স্কুলের বন্ধু নয়। আলাপ হয়েছে কলেজে এসে। সম্পর্ক গাঢ় হয়েছে গত তিনবছর ধরে। ঘটনাচক্রে ইমনের স্কুলের কোনও বন্ধুই এই কমার্সখ্যাত কলেজটায় ভর্তি হয়নি। স্কুলেও ইমনদের একটা কোর গ্রুপ ছিল, সেটা কলেজের থেকে অনেক বড়ো। সেখানেও ইমনকে অজানা কারণে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো। উদাহরণ হিসেবে যেমন বলা যায়, ইন্টার-স্কুল ফুটবল ম্যাচে কোনও বন্ধু চার পাঁচজন প্লেয়ারকে কাটিয়ে গোল করার সময় ইমনের উদ্দেশে বলটা বাড়িয়ে দিত। অন্যদের তুলনায় দুর্বল প্লেয়ার হওয়া সত্ত্বেও ম্যাচের পর ম্যাচ গোল পেয়ে টিমে টিঁকে যেত ইমন। এই ফেভার করাটা সোজাসাপটা ভালোবাসা নয়, ইমনকে সাফল্য এনে দিতে পেরে খুশি হয় বন্ধুরা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...