ঘরে ঢুকতেই দেব আশ্চর্য হয়ে গেল। নয়না আর রাজেন কিছু একটা আলোচনায় এতটাই মশগুল যে দেবের উপস্থিতি টেরই পেল না। দেব-ও এই দৃশ্য চোখের সামনে দেখবে একেবারেই ভাবেনি। দুজনের মুখোমুখি বসে কথা বলা সত্যি করেই এক অভাবনীয় দৃশ্য।

‘বাবাঃ কী এত আলোচনা চলছে? সারা বাড়িতে একটা পিন পড়লেও শোনা যাবে মনে হচ্ছে। এত কী গোপন কথোপকথন?’ দেব খানিক অপেক্ষা করে জিজ্ঞেস করল। দুইজনেই চমকে মাথা তুলল। দুজনকেই খুব চিন্তিত মনে হচ্ছিল।

‘সব ঠিকঠাক তো?’ দেব আবার প্রশ্ন করল।

‘হ্যাঁ রে ভাই, বাড়িতে তো সবকিছু

ঠিক-ঠাকই আছে...’

‘তাহলে তোদের এত চিন্তিত দেখাচ্ছে কেন?’ রাজেনকে থামিয়ে দেব জিজ্ঞেস করল।

‘সেটা ঝুমার জন্য ভাই।’ নয়না উত্তর দেয়, ‘তাও বলতে পারিস প্রায় বিনা কারণে... বুঝতেই পারছি না কী করে ওকে সাহায্য করব।’

ঝুমা নয়নার সব থেকে কাছের বান্ধবী এবং রাজেনেরও যে ঝুমার প্রতি একটা বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে এটাও দেবের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সামনে অনেকবারই ধরা পড়ে গেছে।

‘খুলেই বল পুরোটা, আরাম করে সোফায় গা এলিয়ে বসল দেব, ‘এমনও হতে পারে যে আমি তোদের কিছুটা সাহায্য করতে পারব।’

রাজেনই মুখ খোলে, ‘আরে আগে তো সবই ঠিকঠাক ছিল, অলোকের দাদু খুন হওয়ার পর থেকেই যে দিদির কি হল, বিয়ে করতে কিছুতেই রাজি হচ্ছে না... দিদি... মানে ঝুমার দিদি সীমাদি।’

রাজেনের কথা শেষ হওয়ার আগেই নয়না বিরক্তি ভরা কণ্ঠে বলে ওঠে, ‘খুনের সঙ্গে ঝুমা বেচারির কি লেনদেন? যাক গে, ঝুমার জন্য ভাই কিছু তো করতেই পারে, তারপর দেবের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘তুই তো জানিস, ঝুমাও রাজেনের সঙ্গেই এমবিএ-র জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছে আর ও শিওর যে ভালো কোথাও ও চান্স পেয়েই যাবে। কিন্তু ওর বাড়ির লোকেরা চাইছে পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোবার আগেই ওর বিয়ে দিয়ে দিতে। শ্বশুরবাড়ি যদি রাজি হয় তাহলে ওখান থেকেই ও পড়াশোনা চালাতে পারে। টাকাটা কোনও ব্যাপার নয়... ঝুমার বাবা-ই মেয়ের পড়ার সব খরচ দেবেন বলেছেন।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...