বুদ্ধিটা প্রথমে দিগন্তর মাথায় এসেছিল। রাহুলকে নিয়ে যদি একটা তিন চার মিনিটের ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যায় তাহলে হয়তো কিছু একটা করা যেতে পারে। তিন্নি শুরুতে মোটেই রাজি হচ্ছিল না। কিন্তু ওর বাকি বন্ধুরাও ব্যাপারটাতে সায় দিল। বলল রাহুলের জন্য ফান্ড রেইজিং... এরচেয়ে ভালো উপায়ে আর করা যাবে না। ওদের জোরাজুরিতে নিমরাজি হলেও তিন্নি বলল রাহুলের সঙ্গে কথা বলে ও দু তিন দিনের মধ্যে ওদেরকে জানাবে।

দীপা, অরুণাভ আর সুপর্ণা নিজেদের মধ্যে চোখাচোখি করে তিন্নিকে আবার বোঝাবার চেষ্টা করতে যাচ্ছিল কিন্তু তার আগেই দিগন্ত বলে উঠল, ‘দেখ তিন্নি, রাহুল যেমন আমাদের বন্ধু তেমনই তুইও। গত চার পাঁচ মাস থেকে তোর ওপর দিয়ে কেমন ঝড় ঝাপটা যাচ্ছে আমরা সবাই সেটা দেখতে পাচ্ছি। সত্যি বলতো আর কত দিন তুই এভাবে টানতে পারবি? তোর ফিজিক্যাল স্ট্রেন, মেন্টাল স্ট্রেস তো আমরা শেয়ার করতে পারব না কিন্তু বন্ধু হিসেবে যদি ফিন্যানশিয়াল প্রবলেম কিছুটা লাঘব করতে পারি তো তাহলে আমাদেরও ভালো লাগবে। তুই চিন্তা করে রাহুলের সঙ্গে কথা বলে আমাদের তাড়াতাড়ি জানাস।’

দিগন্তর গলার আওয়াজটা বোধহয় সামান্য উঁচুর দিকে ছিল, তিন্নি ওকে ইশারাতে আস্তে কথা বলতে বলল তারপর চট করে উঠে গিয়ে ওদের এই বাড়ির একমাত্র বেডরুমের দরজাটা আলতো করে খুলে দেখে নিল রাহুল জেগে আছে কিনা। রাহুলকে চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে দেখে দরজাটা সাবধানে টেনে দিয়ে বসার ঘরে এসে দেখল ওর বন্ধুরা ভিডিও বানাবার আলোচনায় মগ্ন।

তিন্নির মনে পড়ে যায় মাত্র সাত বছর আগে ওদের জীবনটা কত অন্যরকম ছিল। এমএসসি-র রেজাল্ট বেরোবার পরে ওরা সবাই যখন সেলিব্রেট করতে গিয়েছিল সেখানেই রাহুল হাটে হাঁড়িটা ভাঙল যে ও আর অপরাজিতা মানে তিন্নি ডেটিং করছে আর খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চলেছে। সবাই ভীষণ ভাবেই চমকে উঠেছিল। চোখে মোটা পাওয়ারের চশমা পরা গুড বয় রাহুল আর দুই বেনি ঝুলিয়ে শাড়ি পরে শহরতলি থেকে কলকাতার কলেজে পড়তে আসা সাধাসিধে মেয়ে তিন্নির মধ্যে তলে তলে প্রেম চলছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...