পর্ব - ৫

দেখুন পুলিশের চাকরিটাই এ রকম, ইচ্ছা না থাকলেও নানা অপ্রীতিকর কাজ করতে হয় তাদের মাঝেমধ্যে। ওই ব্যাপারটা মনে রেখে কষ্ট পাবেন না। আর আমি আপনাকে সে রকম কিছু জিজ্ঞাসা করব না।

ঠিক আছে, বলুন কী জানতে চান?

রণিদা ডায়ারি ও পেন নিয়ে প্রস্তুত হয়ে বলল আপনার স্বামীর সঙ্গে কমলেশ খাস্তগীর এবং সুবিমল সোমের সম্পর্ক কীরকম?

আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় ছাবিবশ বছর। শুনেছি তারও আগে থাকতে বন্ধুত্ব ওদের।

ওরা ছাড়া আর কার কার সঙ্গে মিশতেন, মি. মণ্ডল?

কমবেশি সকলের সঙ্গেই কথা বলতেন তবে বন্ধু বলতে ওরা দুজনই ছিল যাদের ওপর ও খুব নির্ভর করত। আসলে ও একটু ইনট্রোভার্ট প্রকৃতির মানুষ ছিল– যেচে কারও সঙ্গে যেমন আলাপ করতে পারত না, তেমনি কারও সঙ্গে একটানা দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেও দেখিনি ওকে কোনওদিন।

শুনেছিলাম, ভায়ের সঙ্গে ওনার একটু মনোমালিন্য হয়েছিল দিন কয়েক আগে?

ভদ্রমহিলা চুপ করে রইলেন। হয়তো মনে মনে ভাবলেন এ প্রসঙ্গে কীভাবে মুখ খোলা উচিত তার।

তারপর বললেন, ঠাকুরপো একটু অন্য প্রকৃতির মানুষ। তা নিয়ে বাবা-মায়ের দারুণ দুঃখ ছিল। মা আগেই মারা যান। বাবা মারা যাবার পর সম্পত্তির ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দাদার সঙ্গে গণ্ডগোল হতো ওর। ওর অন্যায় দাবি দাদা মেনে নিতে পারেনি। তাতে খুব রেগে যান ঠাকুরপো। বলেন, এ সম্পত্তি তুমি কীভাবে ভোগ করো আমিও দেখে নেব।

উনি এখন কোথায়?

বলতে পারব না, মাঝে মাঝে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ওর পুরোনো অভ্যাস।

মিসেস মণ্ডল, রণিদা বলল, আপনি এই পরিবারের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আপনি স্বামী ও ঠাকুরপোকে দীর্ঘদিন যাবৎ খুব কাছ থেকে দেখেছেন। একটি প্রশ্নের উত্তর দিন, আপনার কি মনে হয় মি. মণ্ডলকে তার ভাই খুন করতে পারে?

মাথা নীচু করে ভদ্রমহিলা মিনিটখানেক চুপ করে থেকে জবাব দিলেন, বলতে পারব না।

যাক গে ওসব কথা, আপনার ছেলে-মেয়েরা কোথায়?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...